মুক্তিযুদ্ধ আমাদের হীরন্ময় অহঙ্কার। আমাদের সর্বোত্তম জয়ের স্মারক।
মুক্তিযুদ্ধের অজানা বীরগাথা জানার জন্য বাংলানিউজের আসিফ আজিজ, মাজেদুল নয়ন, ইকরাম-উদ-দৌলা, দীপু মালাকার, শাকিল আহমেদ ও মানজারুল ইসলাম ঘুরে বেড়িয়েছেন দেশের সীমান্তবর্তী ২৫ জেলা। প্রথম তিনজনের হাতে ছিল কলম-ল্যাপটপ আর অপর তিনজনের হাতে ক্যামেরা।
এরা কথা বলেছেন একাত্তরের সম্মুখযোদ্ধাদের সঙ্গে, তুলেছেন ছবি। কথা বলেছেন অন্য মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে, নৌকমান্ডোদের সঙ্গে, মুক্তিযুদ্ধের সহায়তাকারীদের সঙ্গে, সংগঠকদের সঙ্গে, সর্বস্ব ও স্বজনহারা মানুষদের সঙ্গে। সর্বোপরি বিভিন্ন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও ভারতের শরণার্থী শিবিরগুলোতে প্রাণ হাতে নিয়ে আশ্রয় নেওয়া বিপন্ন মানুষদের সঙ্গে।
বাংলানিউজের এই সাংবাদিকেরা সবাই তরুণ আর উদ্যমী। এরা নিজেরা মুক্তিযুদ্ধ দেখেননি; অথচ টানা দুটি সপ্তাহ তারা প্রবাহিত হয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের অনেক রুদ্ধশ্বাস অজানা কাহিনির ভেতর দিয়ে। এইসব অবিনশ্বর স্মৃতিগাথা তুলে আনতে তাদের পেরুতে হয়েছে সুগম-দুর্গম মাইলের পর মাইল দূরত্ব-- অংকের হিসাবে যা হাজার মাইলের বেশি। কোনো কোনোদিন এদের একেকজনকে কম ঘুমিয়ে, প্রচণ্ড শারীরিক ক্লেশ স্বীকার করে চষে বেড়াতে হয়েছে গড়ে দেড় থেকে দুশো কিলোমিটার পথ। কখনও যানবাহনে, কখনও নৌকায়, কখনও কর্দমাক্ত আর কখনও পাহাড়ি, বন্ধুর পথ হেঁটে। এ সুবাদে তারা স্বচক্ষে দেখেছেন একাত্তরের বহু রণাঙ্গন, এখনও টিকে থাকা বাংকার, বধ্যভূমি ও গণকবর, বহু ধ্বংসপ্রাপ্ত স্থাপনাসহ বহু নিদর্শন ও যুদ্ধের স্মৃতি-অবশেষ।
এই ৬ তরুণের লেখা, ভিডিও ও ছবি আমরা বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের প্রথম প্রহর থেকে প্রকাশ করবো ধারাবাহিকভাবে—‘রণাঙ্গনের এপার-ওপার’--নামের কমন লোগোসহ।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৬
জেএম/