ঢাকা: প্রায় এক দশক আগে নির্মিত হয় সিলেটের এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে। অত্যাধুনিক অবকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধা না থাকা সত্ত্বেও প্রতি সপ্তাহে ৮ থেকে ১০টি বোয়িং-৭৭৭ প্লেন অবতরণ করছে এখানে।
তাই অবকাঠামোগত সুবিধা বাড়াতে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে শক্তিশালী বা সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
প্রবাসীসহ সিলেট অঞ্চলের প্রায় ৫৫ লাখ বাসিন্দা ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের নানা প্রান্তে ভ্রমণ করেন। ফলে লন্ডন ছাড়াও জেদ্দা, দোহা, দুবাই, রিয়াদ থেকে সরাসরি ফ্লাইট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। প্রতিদিন সিলেটের ৫০০ থেকে ৭০০ যাত্রী বহির্বিশ্বে যাতায়াত করেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বোয়িং-৭৭৭ অবতরণের অবকাঠামোগত সুবিধা বাড়ানোসহ বিমানবন্দরের রানওয়ে ও টেক্সিওয়ে শক্তিশালী করা হবে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৭৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।
সূত্র জানায়, এরই মধ্যে রানওয়ে শক্তিশালী করার প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগে পাঠিয়েছে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
সেখানে যেন অত্যাধুনিক ও বড় সাইজের বোয়িং-৭৭৭ নিরাপদে নিয়মিত অবতরণ এবং উড্ডয়ন করতে পারে, সেজন্যে বিমানবন্দরটির রানওয়ে আরও শক্তিশালী করে বড় প্লেন উঠা-নামার উপযুক্ত করে গড়ে তোলা হবে।
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘১০ বছর আগে এ বিমানবন্দরের রানওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। কোনো দেশের আবহাওয়া ও মাটির গুণাগুণের ওপর ভিত্তি করে রানওয়ের অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল নির্ভর করে’।
‘নির্দিষ্ট সময় গেলে রানওয়ের সক্ষমতা থাকে না। তাছাড়া বর্তমানে সিলেটের ট্যুরিজম খাতও অনেক প্রসার হয়েছে’।
‘যাত্রী চাহিদা ও বোয়িং-৭৭৭ অবতরণের কথা বিবেচনা করে আমরা রানওয়ে শক্তিশালী করতে চাই। মূলত এ বিমানবন্দরে বোয়িং ৭৭৭ এর ফ্লাইট বাড়ানোর জন্যে রানওয়ে শক্তিশালী করা হবে’ - বলেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৭০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৬
এমআইএস/এমএ/এএসআর