পাবনা: ১লা ডিসেম্বর পাবনার ঐতিহাসিক নাজিরপুর গণহত্যা দিবস।
১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের এদেশীয় দোসরদের সহায়তায় পাবনা সদর উপজেলার নাজিরপুর গ্রামে নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায়।
এদিন তাদের হাতে শহীদ হন ৬২ জন। পুড়িয়ে দেওয়া হয় অসংখ্য ঘরবাড়ি।
এদিকে স্বাধীনতার ৪৫ বছর পরও নাজিরপুর গ্রামে কোনো স্মৃতিচিহ্ন নির্মিত না হওয়ায় ক্ষুব্ধ এখানকার মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকাবাসী।
পাবনা শহর থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের নাজিরপুর গ্রামটি মুক্তিযুদ্ধের সময় জেলার পশ্চিমাঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধাদের মূল ঘাঁটি ছিল। এখান থেকেই নির্ধারিত হতো পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে রণকৌশল।
পাবনা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা কমান্ডার হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, প্রশিক্ষিত মুক্তিযোদ্ধারা নভেম্বরে নাজিরপুর ও এর আশপাশের গ্রামগুলোতে অবস্থান নিতে থাকেন। তাদের গেরিলা আক্রমণে কয়েকজন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা ১০ নভেম্বর তিনগাছা ও ২৭ নভেম্বর কৃষ্ণপুর ক্যাম্পে গেরিলা হামলা চালিয়ে পাকিস্তানি সেনাদের অবস্থান লণ্ডভণ্ড করে দেন। এ দু’টি হামলায় প্রতিশোধ নিতেই নাজিরপুরে গণহত্যা চালায় হানাদারবাহিনী। ৬২ জনকে ধরে নিয়ে দু’টি খালে নৃশংসভাবে হত্যা করে তারা। এসময় জ্বালিয়ে দেয় দুই শতাধিক বাড়িঘর। সেদিনের কথা মনে হলে আজও শিউরে ওঠেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাসহ স্বজন হারানো মানুষগুলো।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩২ ঘণ্টা, ডিসিম্বর ০১, ২০১৬
বিএসকে/আরএ