ইএসএইচআর (সিলেট) থেকে: বাংলানিউজের ‘করেসপন্ডেন্টস মিট’-এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এডিটর ইন চিফ আলমগীর হোসেন বলেছেন, আমার সাংবাদিকতা জীবনও শুরু হয়েছিল করেসপন্ডেন্ট হিসেবে।
নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার গুরুত্ব তুলে ধরে নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, সাংবাদিক হিসেবে আমি নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন মেনটেইন করেছি।
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) সকালে এক্সেলসিয়র সিলেট হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টে বাংলানিউজের ‘করেসপন্ডেন্টস মিট’-এ বক্তৃতা করছিলেন এডিটর ইন চিফ।
আলমগীর হোসেন আরও বলেন, সাংবাদিকতায় সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চ্যালেঞ্জ না নিতে পারলে টিকে থাকা যাবে না। আমার দুটি টাইপরাইটার ছিল। এখন প্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে হ্যান্ডহেল্ড ডিভাইসে অভ্যস্ত হতে হয়েছে। সব সাংবাদিককেই সময়ের সঙ্গে প্রযুক্তির সঙ্গে দৌড়ে চলতে হবে।
কপি-পেস্ট সাংবাদিকতা কখনও সাংবাদিকতা হতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন বাংলানিউজের এডিটর ইন চিফ। একইসঙ্গে সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেওয়ার ওপরও গুরত্ব দেন তিনি।
আলমগীর হোসেন বলেন, এখানকার জেনারেশনের সবাই ইন্টারনেট ফ্রেন্ডলি। সবাই ইমেইল এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করে। তারা এখন তাৎক্ষণিক নিউজও পড়ে ফেলে মোবাইলে। সকালের পত্রিকার খবর এখন তাদের কাছে বাসি হয়ে যায়।
এডিটর ইন চিফ সাংবাদিকতায় পেশাদারী মনোভাব পোষণের ওপর তাগিদ দিয়ে বলেন, সাংবাদিকতা করলে পুরোদস্তুর সাংবাদিকতাই করতে হবে। পেশাদারী মনোভাব থাকতে হবে। অন্যথায় পিছিয়ে পড়তে হবে।
এ মিটে বাংলানিউজের ৩২ জন জেলা ও উপজেলা করেসপন্ডেন্ট অংশ নিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন কান্ট্রি এডিটর শিমুল সুলতানা। তিনি করেসপন্ডেন্টদের উদ্দেশে বেশ কিছু দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন।
ল’ এডিটর এরশাদুল আলম প্রিন্সের সঞ্চালনায় এ মিটে আরও উপস্থিত রয়েছেন সিলেটের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট নাসির উদ্দিন, ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন।
** সাংবাদিককে হতে হবে পেশাদারী মনোভাবের
** বাংলানিউজ মানে চ্যালেঞ্জ, চ্যালেঞ্জ মানে বাংলানিউজ
** ঢাকার বাইরে এ করেসপন্ডেন্টস মিট নজির হয়ে থাকবে
** বাংলানিউজের প্রতিটি করেসপন্ডেন্টকে হতে হবে উদাহরণ
** সিলেট অফিসে আরও এগিয়ে যাবে বাংলানিউজ
** বাংলানিউজের করেসপন্ডেন্টস মিট শুরু
** ‘অন্যরা জিজ্ঞেস করে, বাংলানিউজ এতো দ্রুত খবর কীভাবে দেয়?’
বাংলাদেশ সময়: ১১০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৬
এনটি/আরবি/এসএ/এটি/এসএইচ/এইচএ/আরআইএস/এমজেএফ