ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রেসক্লাবগুলোর গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন আনতে হবে

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০১৬
প্রেসক্লাবগুলোর গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন আনতে হবে ছবি: আবু বকর-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ভূইফোঁড় সংবাদপত্র ও অনলাইনের কর্মীদের প্রেসক্লাবগুলোতে সদস্যপদ দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে বাংলানিউজের এডিটর ইন চিফ আলমগীর হোসেন বলেছেন, প্রেসক্লাব পেশাদার সাংবাদিকদের জায়গা।

ইএসএইচআর (সিলেট) থেকে: ভূইফোঁড় সংবাদপত্র ও অনলাইনের কর্মীদের প্রেসক্লাবগুলোতে সদস্যপদ দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে বাংলানিউজের এডিটর ইন চিফ আলমগীর হোসেন বলেছেন, প্রেসক্লাব পেশাদার সাংবাদিকদের জায়গা। কিন্তু বাস্তবতা হলো পেশাদারিত্বের চেয়ে যাদের কাছে অন্য বিষয়গুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ, বছরের পর বছর তারাই পদ আঁকড়ে বসে থাকছেন।

তাই সারাদেশের প্রেসক্লাবগুলোর গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন আনতে হবে।

শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) সকালে পর্যটন নগরী সিলেটের খাদিমপাড়া এক্সেলিয়র সিলেট হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টে (ইএসএইচআর) আয়োজিত বাংলানিউজের ‘করেসপন্ডেন্টেস মিটে’ প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন তিনি।

 

আলমগীর হোসেন বলেন, সাংবাদিকতা একটি সার্বক্ষণিক পেশা। এখানে পেশাদারিত্বই বড় কথা। কেবল পেশাদার সাংবাদিকরাই সংগঠনগুলোতে থাকবেন। অথচ প্রেসক্লাবগুলোতে যারা সদস্যপদ বছরের পর বছর আঁকড়ে আছেন তাদের কাছে পেশাদারিত্বের চেয়ে অন্য বিষয়গুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। দেশে যেমন ভূইফোঁড় পত্রিকার অভাব নেই, তেমনি ভূঁইফোড় অনলাইনেরও অভাব নেই।

পেশাদার অনলাইন সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের প্রেসক্লাবে সদস্যপদপ্রাপ্তিতে জটিলতা প্রসঙ্গে এডিটর ইন চিফ বলেন, সারাদেশের প্রেসক্লাবগুলোকে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গঠনতন্ত্রে আমূল পরিবর্তন আনতে হবে। ভূইঁফোড় যে সংবাদপত্র ও অনলাইন আছে তাদের বদলে পেশাদার নিউজপোর্টালগুলোর সংবাদকর্মীদের সদস্যপদ দিতে হবে।

এক্ষেত্রে তিনি বলেন, কমপক্ষে ২৫ জন জনশক্তি নিয়ে যারা কাজ করেন তারা অনলাইন পোর্টাল হিসেবে স্বীকৃতি পেতে পারেন। তবে জেলা পর্যায়ের ক্ষেত্রে এ সংখ্যা কম-বেশি হতে পারে।

সংশ্লিষ্টরা সময়ের গুরুত্ব ও তাৎপর্য বুঝে এ পরিবর্তন আনবেন বলে আশা প্রকাশ করেন এডিটর ইন চিফ।

তিনি নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার গুরুত্ব এবং এক্ষেত্রে নিজের ব্যক্তিগত অবস্থান তুলে ধরে বলেন, সাংবাদিক হিসেবে আমি নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন মেনটেইন করেছি। সংবাদ পড়ে যেন মনে না হয় কারও বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে লেখা হয়েছে। যার বিরুদ্ধে লেখা হয়েছে তিনি নিশ্চয়ই বুঝবেন।

আলমগীর হোসেন আরও বলেন, সাংবাদিকতায় সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চ্যালেঞ্জ না নিতে পারলে টিকে থাকা যাবে না। আমার দুটি টাইপরাইটার ছিলো। এখন প্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে হ্যান্ডহেল্ড ডিভাইসে অভ্যস্ত হতে হয়েছে। সব সাংবাদিককেই সময়ের সঙ্গে প্রযুক্তির সঙ্গে দৌড়ে চলতে হবে।

তিনি কপি-পেস্ট সাংবাদিকতা কখনো সাংবাদিকতা হতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন। একইসঙ্গে এডিটর ইন চিফ সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেওয়ার ওপরও গুরত্ব দেন।
 
আলমগীর হোসেন বলেন, এখনকার জেনারেশনের সবাই ইন্টারনেট ফ্রেন্ডলি। সবাই ইমেইল ও ইন্টারনেট ব্যবহার করে। তারা এখন  তাৎক্ষণিক নিউজও পড়ে ফেলে মোবাইলে। সকালের পত্রিকার খবর এখন তাদের কাছে বাসি হয়ে যায়।

এডিটর ইন চিফ সাংবাদিকতায় পেশাদারী মনোভাব পোষণের তাগিদ দিয়ে বলেন, সাংবাদিকতা করলে পুরোদস্তুর সাংবাদিকতাই করতে হবে। পেশাদারী মনোভাব থাকতে হবে। অন্যথায় পিছিয়ে পড়তে হবে।

এ মিটে বাংলানিউজের ৩২ জন জেলা ও উপজেলা করেসপন্ডেন্ট অংশ নিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন কান্ট্রি এডিটর শিমুল সুলতানা। তিনি করেসপন্ডেন্টদের উদ্দেশে বেশ কিছু দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন।

ল’ এডিটর এরশাদুল আলম প্রিন্সের সঞ্চালনায় এ মিটে আরও উপস্থিত রয়েছেন চিফ অব করেসপন্ডেন্ট সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, সিলেটের স্টাফ ক‌রেসপ‌ন্ডেন্ট না‌সির উ‌দ্দিন, ডিভিশনাল সি‌নিয়র ক‌রেসপ‌ন্ডেন্ট বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন।

** বাংলানিউজ মানে চ্যালেঞ্জ, চ্যালেঞ্জ মানে বাংলানিউজ
** সোশ্যাল মিডিয়ায় নিউজ খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে
** আমি নিজেও করেসপন্ডেন্ট ছিলাম
** সাংবাদিককে হতে হবে পেশাদারী মনোভাবের
** বাংলানিউজ মানে চ্যালেঞ্জ, চ্যালেঞ্জ মানে বাংলানিউজ
** ঢাকার বাইরে এ করেসপন্ডেন্টস মিট নজির হয়ে থাকবে
** বাংলানিউজের প্রতিটি করেসপন্ডেন্টকে হতে হবে উদাহরণ
** সিলেট অফিসে আরও এগিয়ে যাবে বাংলানিউজ
** বাংলা‌নিউজের ক‌রেসপ‌ন্ডেন্টস মিট শুরু
** ‘অন্যরা জিজ্ঞেস করে, বাংলানিউজ এতো দ্রুত খবর কীভাবে দেয়?’

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৬
এনটি/আরবি/এসএ/এটি/এসএইচ/এইচএ/আরআইএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।