শরীয়তপুর: শরীয়তপুর শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে ছয়টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (০১ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ১টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে প্রায় চার ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করছেন ফায়ার সার্ভিস ও ব্যবসায়ীরা।
শরীয়তপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা আব্দুর রহমান জানান, রাত ১টায় আগুন লাগার খবর পেয়ে সদর উপজেলার দমকল বাহিনীর একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এসময় খান এন্টারপ্রাইজ নামে হার্ডওয়ার দোকান ও আরিয়ান এন্টারপ্রাইজ নামে প্লাস্টিকের দোকানের ভেতর আগুন জ্বলছিলো। পরে ডামুড্যা, গোসাইরহাট ও মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের আরও তিনটি ইউনিট এসে প্রায় চার ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিভায়।
ততক্ষণে হাকিম মাদবরের তুলি ফার্নিচার অ্যান্ড স্ট্রিল ও কারখানা, শাহীন খানের খান এন্টারপ্রাইজ, আফজালের আরিয়ান এন্টারপ্রাইজ, কালাম খানের খান স্টিল ও কারখানা পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় ৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর মধ্যে তুলি ফার্নিচার অ্যান্ড স্ট্রিলের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে।
খান স্টিলের মালিক কালাম খান বলেন, পাশের চায়ের দোকানদার শাহীন আমাকে ফোন করে জানান, দোকানে আগুন লেগেছে। ঘটনাস্থলে এসে দেখি দোকানের সব পুড়ে ছাই। কোন মালামাল রক্ষা করতে পারিনি। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকা পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলতে পারবো না।
তুলি ফার্নিচার অ্যান্ড স্ট্রিলের মালিক হাকিম মাদবর জানান, চট্টগ্রাম থেকে সেগুন কাঠের গাড়ি আসার কথা। কাঠের টাকা পরিশোধ করার জন্য দোকানে নগদ ১৭ লাখ টাকা রাখা হয়েছিল। গভীর রাতে আগুন লাগায় আমার শো-রুম ও কারখানা পুড়ে প্রায় দুই কোটি টাকার মালামাল ও নগদ ১৭ লাখ টাকা পুড়ে গেছে। আমি কোন মালামাল ও টাকা রক্ষা করতে পারিনি। আমি এখন নিঃস্ব।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) এমারত হোসেন বলেন, তুলি ফার্নিচারের পাশের একটি দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৬
বিএসকে/আরএ