সাভার (ঢাকা): সারা দেশে বইতে শুরু করেছে হালকা ঠাণ্ডা হাওয়া। দেশে শীতের উপস্থিতি জানান দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঢাকার অদূরে শিল্পাঞ্চল সাভার ও আশুলিয়ার ফুটপাতগুলোতে বসেছে গরম কাপড়ের দোকান।
সাধারণত সাভার বাজার বাস স্ট্যান্ড, নবীনগর, জামগড়া, জিরানী বাজার, হেমায়েতপুরসহ রাস্তার পাশে বসেছে ছোট-বড় অসংখ্য মৌসুমী গরম কাপড়ের দোকান। আবার অনেকে ভ্রাম্যমাণ ভ্যানে করেও বিক্রি করছেন এসব শীতের পোশাক।
পোশাক বিক্রেতারা বলেন, শীত কম তাই বেচা-বিক্রিও কম। আমাদের এই সিজনের ব্যবসা শীত বাড়া-কমার উপর নির্ভর করে থাকে। বাজারে কাপড়ের ভালো যোগান আছে, ক্রেতাও একেবারে খারাপ না- শুধু শীতটা একটু বাড়ার অপেক্ষা।
সাধারণত নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষেরাই এসব দোকানের প্রধান ক্রেতা। বড় বড় বিপণী বিতানের চেয়ে এসব স্থানে কম দামে পছন্দমতো গরম কাপড় কিনতে পারেন ক্রেতারা।
এসব পোশাকগুলোর দাম ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৫শ টাকার মধ্যেই হয়ে থাকে। আবার কোনো কোনো দোকানে হরেক মাল ২০ টাকা করেও পাওয়া যায়।
নিলুফা নামে এক ক্রেতা বলেন, আমি একজন র্গামেন্টস শ্রমিক। বড় বড় মার্কেটগুলোতে আমারা যাইতে পারি না অতিরিক্ত দামের কারণে। যে বেতন পাই তা দিয়ে নিজে চলবো না শীতের কাপড় পরবো? তাই এসব দোকান থেকে পোশাক কিনি, দামেও সস্তা মানও একেবারে খারাপ না।
আব্দুল করিম শিকদার নামে এক পোশাক বিক্রেতা বলেন, শীত এখনও সেভাবে না পড়ায় বেচা-বিক্রি কম। অনেকেই দেইখা দেইখা চলে যায়, নেয় না। শীতের মাত্রা আরও একটু বাড়লে গরম কাপড় বিক্রি আরও বাড়বে।
সাধারণত কেরানীগঞ্জের পোশাক পল্লীসহ শিল্প এলাকার ছোট গার্মেন্টগুলো থেকেই শীতের কাপড়ের যোগান হয় বলেই জানান পোশাক ব্যবসায়ীরা।
সোহেল মোল্লা নামে অন্য এক পোশাক বিক্রেতা বলেন, আমরা সাধারণত জ্যাকেট, ট্রাউজার, টুপি, বাচ্চাদের পোশাক ও স্যুয়েটারসহ বিভিন্ন ধরনের পোশাক বিক্রি করে থাকি। সহজ শর্তে ব্যাংকগুলো যদি ক্ষুদ্র ঋণ দিতো তাহলে অনেক সুবিধা হতো। এসময় আমাদের স্বল্প সময়ের জন্য বেশকিছু নগদ টাকার প্রয়োজন হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৬
এসএনএস