ঢাকা: অমর একুশে গ্রন্থমেলাকে সামনে রেখে লেখক-প্রকাশকদের নিরাপত্তা জোরদারসহ ১০ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছে বাংলাদেশ লেখক ঐক্য।
শনিবার (০৩ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০১৭ উপলক্ষে বাংলাদেশ লেখক ঐক্যের প্রস্তাবনা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব প্রস্তাবনা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন লেখক ঐক্যের সভাপতি রাখাল রাহা।
তিনি বলেন, ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা কেবল একটি গ্রন্থমেলা নয়, এটি বাঙালির আত্মপরিচয় প্রকাশের প্রধানতম মাধ্যম। কাজেই এ মেলার উৎর্কষের জন্য যা কিছু প্রয়োজন, তা সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও প্রতিষ্ঠানকেই করতে হবে’।
লেখক ঐক্যের পক্ষে ১০টি প্রস্তাবনা তুলে ধরে রাখাল রাহা বলেন, ২০১৭ সালের বইমেলায় লেখক-প্রকাশকদের নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। লেখকের পাওনা সম্মানি প্রদানে মেলায় বসেই বিশেষ সমঝোতা প্রক্রিয়া প্রবর্তন, বই বাজেয়াপ্ত কিংবা স্টল বন্ধে মেলা কর্তৃপক্ষের অবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্ত না নেওয়া, বইমেলাকে আন্তর্জাতিক রুপদান, মেলা প্রাঙ্গনের মূল নকশা ও স্টল বিন্যাস সহজ করা এবং মূল মেলা প্রাঙ্গনে ছোট কাগজের স্টলগুলোকে অর্ন্তভুক্ত করার প্রস্তাবনা দেন তিনি।
এছাড়া, ছোটদের কর্নারের স্টলগুলোকে আরো আর্কষণীয় করা, পাঠকদের জন্য ছাড় বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা, মেলা সমাপ্তির সময় বাড়িয়ে রাত ৯টা পর্যন্ত করা এবং মূল মেলা প্রাঙ্গনে বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানি, স্বল্পমূল্যের চা-কফি ও হালকা খাবারের দোকান রাখার প্রস্তাব জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কবি শওকত হোসেন, কথাসাহিত্যিক ইমতিয়ার শামীম, জাকির তালুকদার, আহমেদ মোস্তফা কামাল, কবি চঞ্চল আশরাফ, প্রাবন্ধিক আরশাদ সিদ্দিকী প্রমুখ।
কথাসাহিত্যিক ইমতিয়ার শামীম বলেন, ‘মেলার সময় কমিয়ে এনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা- এটি কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা হতে পারে না। বিশেষ করে বিকেলের পরেই মানুষ সারাদিনের কাজ শেষ করে মেলায় আসবেন। সেখানে নিরাপত্তার কথা বলে আগে বন্ধ করে দিলে লেখক-প্রকাশকদের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। লেখক-প্রকাশকদের নিরাপত্তা দিতে সার্বিকভাবে চিন্তা করতে হবে’।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৬
এমসি/এএসআর