খুলনা: খুলনায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী অজয় সরকারের ওপর হামলা করেছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী শেখ হারুনুর রশীদের সমর্থকরা। হামলায় প্রার্থী অজয় সরকার ছুরিকাহতসহ চারজন আহত হয়েছেন।
শনিবার (০৩ ডিসেম্বর) বিকেলে খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ চেয়ারম্যান প্রার্থীকে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেন।
আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক চেয়ারম্যান প্রার্থী অজয় সরকার বাংলানিউজকে জানান, শনিবার দুপুরে চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে প্রার্থীদের মনোয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের দিন ধার্য ছিলো।
‘সমর্থকসহ রিটার্নিং অফিসার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যাই। এ সময় তার ওপর হামলা চালানো হওয়ার কথা শুনি। বিষয়টি নিয়ে আমি পুলিশ কমিশনারকে ফোনও করি। সে অনুযায়ী সদর থানার ওসি ডিসি অফিস থেকে আমাকে নিয়ে যান। ’
তিনি অভিযোগ করেন, বের হওয়ার সময়ই জেলা আওয়ামী লীগ নেতা কামরুজ্জামান জামালসহ হারুনের বেশ কিছু কর্মী-সমর্থক হামলা চালায়। এ সময় তারা ছুরিকাঘাতও করে। এতে আমিসহ আমার তিনকর্মী আহত হয়েছেন।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘অজয় সরকার নিজেই একজন সন্ত্রাসী। চরমপন্থী নিউ বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান মৃণালের সঙ্গে তার সখ্যতা ছিলো। তার ওপর হামলা চালাবে এমন ক্ষমতা কারও আছে। ’
তিনি অভিযোগ করেন, ডিসি অফিসে দুপুরে অজয় সরকার যখন এসেছিলেন তখন তার লোকজনের কাছে চারটি বন্দুক ছিলো। দুইটি মার্সিটিস গাড়ি নিয়ে এসেছিলেন তিনি। তার লোকেরাই ফাঁকা গুলি করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। এ সময় তার লোকজনের হামলায় এক ছাত্রলীগ কর্মীর মাথা ফেটে গেছে। ’
হারুন বলেন, অজয় সরকার আওয়ামী লীগের কেউ নন। অথচ তিনি কখনও যুবলীগ, কখনও আওয়ামী লীগ নেতা বলে দলের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন ফায়দা হাসিল করছেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, দুই প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের মধ্যে বাতবিতণ্ডার হয়।
‘এ সময় এক চেয়ারম্যান প্রার্থী কিছুটা আহত হয়েছেন। প্রশাসনের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষকে শান্ত করে। তবে এ ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৬
এমআরএম/এমএ