ঢাকা: ‘ও বোইন পেড তো রাত বোঝে না, তিন বেলা খাউন চায়, পুয়া, পুরী স্কুলে যায়, তাগো খরচ আছে, ঘর ভাড়া দেওন লাগে, বাজার করোন লাগে, আমার বেডা বাইচা নাই, কাম না করলে আমার উপায় নাই, না খাইয়া থাউন লাগে...।
শনিবার (ডিসেম্বর ০৩) দিবাগত রাত ২টা।
সবিতা জানান, স্বামী যুগেন্দ্র সরকার এক বছর হলো মারা গেছেন। তার তিন মেয়ে এক ছেলে। ছেলে-মেয়েদের অন্য জোগাতে দিন-রাত কাজ করেন তিনি।
রাতে কাজ করেন কেন? জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, রাতে কাজ করলে মজুরি বেশি পাওয়া যায়। তবে কষ্ট বেশি। আর এখন শীত হওয়ায় কষ্ট বেশি হচ্ছে।
অভাবের কারণে ভিটেমাটি বিক্রি করে দিয়েছেন। শেষ সম্বল বলে কিছু নেই। স্বামীর মৃত্যুর পর গ্রাম থেকে ঢাকায় আসেন তিনি। তারপর থেকেই দিনরাত পরিশ্রম করেই সংসার চালাচ্ছেন।
তবে কাজের মজুরি নিয়ে অভিযোগ রয়েছে সবিতার। তিনি বলেন, পুরুষদের মত কাজ করলেও তিনি পুরুষদের চেয়ে মজুরি কম পান। একজন পুরুষ মজুরি পায় ৩৫০ টাকা। অন্যদিকে একই কাজ করে একজন নারী দিনমজুর পায় ৩০০ টাকা।
মজুরির বিষয়ে কথা হয় রাস্তার কাজ দেখা শোনার দায়িত্বে থাকা দুলাল মিয়ার সাথে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, পুরুষেরা ভারী কাজ করতে পারে কিন্তু নারীরা পারে না। এজন্য তাদের বেতন কম। সবিতার বাড়ি হবিগঞ্জে। তার তিন মেয়ে ও এক ছেলে। তিনিই সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম।
বাংলাদেশ সময়: ০৬০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৬
আরএটি/আরআই