কুষ্টিয়া: নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে কুষ্টিয়ার খোকসায় হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে।
রোববার (০৪ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের উদ্যোগে জাতীয় ও মুক্তিযোদ্ধার পতাকা উত্তোলন করেন-উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সদর উদ্দিন খান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেবেকা খান।
পরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চত্বর থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়।
শোভাযাত্রাটি খোকসা বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চত্বরে গিয়ে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ফজলুল হকের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন-উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সদর উদ্দিন খান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন-উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেবেকা খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল আখতার, পৌর মেয়র তারিকুল ইসলাম তারিক ও মুক্তিযোদ্ধা মোদাচ্ছের আলী আঞ্জু প্রমুখ।
১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর খোকসা থানা হানাদার মুক্ত হয়। থানা সদরের খোকসা হাই স্কুল, শোমসপুর হাই স্কুল, গনেসপুরের গোলাবাড়ীর নিলাম কেন্দ্র ও মোড়াগাছা রাজাকার বাহিনীর শক্ত ঘাঁটি ছিল।
এ জনপদে হত্যা, ধর্ষণ, লুট, অগ্নিসংযোগের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ওঠে এলাকার মুক্তিপাগল মুক্তিযোদ্ধাদের একটি ইউনিট। প্রথমে পাকিস্তানি পুলিশ উৎখাতের উদ্দেশে থানা দখলের পরিকল্পনা হয়। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ৩ ডিসেম্বর রাত ১১টার দিকে মুজিব বাহিনী কমান্ডার আলাউদ্দিন খান, কেএম মোদ্দাসের আলী, সদর উদ্দিন খান, নুরুল ইসলাম দুলাল, সাইদুর রহমান মন্টু, রোকন উদ্দিন বাচ্চু, তরিকুল ইসলাম তরুর নেতৃত্বে ২৫ জন মুক্তিযোদ্ধা থানা দখলের জন্য চারদিক থেকে আক্রমণ করে। রাতভর গুলি বিনিময়ের পর সকালে ১০৫ জন পুলিশ ও রাজাকার সদস্য আত্মসমর্পণ করেন।
৪ ডিসেম্বর খোকসা থানায় বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন খোকসা জানিপুর পাইলট হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আলতাফ হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৬
আরবি/পিসি