ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কামালপুর মুক্ত দিবস ৪ ডিসেম্বর

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১৬
কামালপুর মুক্ত দিবস ৪ ডিসেম্বর

রোববার (৪ ডিসেম্বর) কামালপুর মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালে টানা ১০ দিন অবরুদ্ধ থাকার পর ১৬২ জন সেনা নিয়ে আত্মসমর্পণে বাধ্য হয় পাকিস্তানি বাহিনীর গ্যারিসন অফিসার আহছান মালিক।

জামালপুর: রোববার (৪ ডিসেম্বর) কামালপুর মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালে টানা ১০ দিন অবরুদ্ধ থাকার পর ১৬২ জন সেনা নিয়ে আত্মসমর্পণে বাধ্য হয় পাকিস্তানি বাহিনীর গ্যারিসন অফিসার আহছান মালিক।

এর আগে ২৪ নভেম্বর থেকেই বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা পুরো কামালপুর অবরুদ্ধ করে রাখে।

৪ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের চিঠি বহনকারী কিশোর মুক্তিযোদ্ধা বশির আহাম্মেদকে পাকিস্তানি বাহিনীরা আটকে রাখেন।

পরে ২ দফায় আত্মসমর্পণের চ‍ূড়ান্ত নোটিশ দিয়ে অপর মুক্তিযোদ্ধা সঞ্জুকে পাঠানো হয়।

এ সময় ভারতীয় বিমান বাহিনী কামালপুরের আকাশে বেশ কয়েকবার চক্কর দিতে থাকে।

এদিকে, কামালপুরে সর্ব‍াত্মক হামলার প্রস্তুতি নিতে থাকে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা। ৪ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় আনুষ্ঠানিকভাবে মিত্রবাহিনীর আত্মসমর্পণে বাধ্য হয় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী।
 
উড়তে থাকে বিজয় পতাকা। আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে প্রথম মুক্তির সাধ পায় ঐতিহাসিক কামালপুর।

কেন কামালপুর ঐতিহাসিক: আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের প্রথম মুক্ত হয় জামালপুরের ধানুয়া কামালপুর। কামালপুর থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার দূরে মহেন্দ্রগঞ্জে ছিল মুক্তিযুদ্ধের ১১ নম্বর সেক্টরের সদর দপ্তর। এ ফ্রন্টে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে গেরিলা যুদ্ধ হয় মুক্তিযোদ্ধাদের। এছাড়া ১০ বার সম্মুখ যুদ্ধে অবতীর্ণ হন মুক্তিযোদ্ধারা।

কামালপুরে ছিল পাকিস্তানি সেনাদের শক্তিশালী ঘাঁটি। এ সেক্টরে মোট মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন ২২ হাজার।

১২ জুন থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাকিস্তানি সেনাদের বিভিন্ন সময়ে ১০ বার সম্মুখ যুদ্ধ হয়। ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন মমতাজসহ মোট ১৯৪ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। পাকিস্তানিদের পক্ষে নিহত হন ৪৯৭ জন সেনা।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৬
আরবি/পিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।