ঢাকা: মালয়েশিয়ায় অপহৃত বাংলাদেশি শ্রমিক ভোলার মাহবুব আলমকে (৩৬) উদ্ধার করা হয়েছে। কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশি দূতাবাস, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও বায়রার সহযোগিতায় রোববার (৪ ডিসেম্বর) তাকে অসুস্থ অবস্থায় দেশে ফেরত আনা হয়েছে।
একই সঙ্গে এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে ঢাকা থেকে আটক করা হয়েছে বলে রোববার র্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তরের পাঠানো এক প্রেস রিলিজে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০০৭ সালে উন্নত জীবনের আশায় মালয়েশিয়ায় যান মো. ভোলার দক্ষিণ চর আইচা গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে মাহবুব আলম। কিন্তু সম্প্রতি সেখানে তাকে অপহরণ করে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি করা হচ্ছিলো। এমনকি মুক্তিপণের টাকা চেয়ে গ্রামের বাড়িতে স্বজনদের ফোনও দিয়েছে অপহরণকারীরা।
র্যাব জানায়, ভাইয়ের অপহৃত ও মুক্তিপণের টাকার বিষয়ে গত ২৮ নভেম্বর মাহবুবের ভাই নাজমুল হক সবুজ র্যাবের কাছে অভিযোগ করেন।
অভিযোগে তিনি জানান, গত ২৬ নভেম্বর রাতে ফোন দিয়ে মালয়েশিয়া প্রবাসী টাঙ্গাইলের কালিহাতী থানার সেলিমপুরের জুলহাস তাদের কাছে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছেন ভাইয়ের মুক্তির জন্যে। একই সঙ্গে ঢাকার একটি ঠিকানায় টাকা নিয়ে যেতে বলেন তিনি।
প্রেস রিলিজে র্যাব জানায়, কথা অনুযায়ী গত ২৭ নভেম্বর বিকেলে মগবাজারের বারাকাহ ইনসাফ হাসপাতালের সামনে আলী আহমেদ রিফাত (২৯) নামে এক ব্যক্তিকে এক লাখ টাকাও দেন অপহৃতের ভাই সবুজ। বাকি টাকা শিগগির দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয় তাকে।
‘কথা অনুযায়ী টাকা দেওয়ার সময় রাজধানীর সিদ্ধেশরী ডিগ্রি কলেজের গেট সংলগ্ন সড়ক থেকে ২৮ নভেম্বর (সোমবার) দুপুরে টাঙ্গাইলের কালিহাতীর মো. দুলাল (৪০) ও একই এলাকার রূপচাঁদ আলীকে (২৫) আটক করা হয়। ’
তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ১ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) মালয়েশিয়ার পাহাং জেলার কুনতাং থানার গহীন জঙ্গল থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় অপহৃত মাহবুবকে উদ্ধার করে রোববার (৩ ডিসেম্বর) দেশে পাঠানো হয়।
আর একইদিন রাতে মুক্তিপণের টাকা আদায়কারী রিফাতকে মালিবাগের চৌধুরীপাড়া থেকে আটক করা হয়েছে।
এ অপহরণ চক্রের সঙ্গে জুলহাস ছাড়াও মালয়েশিয়া প্রবাসী কুমিল্লার জাহাঙ্গীর আলম কামাল ও একই এলাকার মো. ফারুক সরকার জড়িত বলে জানিয়েছে র্যাব।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৬
পিআর/এমএ/