শহর থেকে প্রায় এক ঘণ্টার যাত্রা। সিলেট-জাফলং সড়ক এখন অনেক প্রশস্ত।
বাংলানিউজ করেসপন্ডেন্টস’ মিট প্রোগ্রামে অংশ নিতে প্রিয় সহকর্মীদের সহযাত্রী হয়ে প্রথম সিলেটে, পরের দিন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা সহকর্মীদের সঙ্গে জাফলং। সহকর্মী-বন্ধু আবু বকরকে পাশে বসিয়ে ওর গাড়ির ড্রাইভ সিটে আমি, পেছনে আরো তিন সহকর্মী-বন্ধু। অতঃপর পাহাড় কণ্যার অভিসারে জাফলংয়ের পথে পথে...।
এবার আর সহসাই সেই সবুজ-সৌন্দর্যের দেখা পেলাম না। একপাশে বালুময় প্রান্তর, অন্যপাশে অনেকটা ধূসর পাহাড়ের সারি। এ পাহাড়গুলো একদিন সবুজ ছিল। আজ ওই সবুজ প্রায় ম্লান হয়ে যাচ্ছে।
তবে হেমন্তের মেঘমুক্ত নীল আকাশ ঠিক আগের মতোই আছে। আকাশ থেকে যেনো মেঘপুঞ্জ আছড়ে পড়েছে ছোট-বড় পাহাড়ের ওপরে।
একসময় জাফলংয়ে গিয়েই দেখা যেতো অপরূপ পাথর-নদীর দেখা। আজ তা কেবলই দূর থেকে হাতছানি দেয়। যেনো কিছুতেই ধরা দিতে চায় না। সব সৌন্দর্য-যৌবন হারিয়ে যেনো কারো কাছে দেখা দিতে চায়না।
নিজেকে যেনো লুকিয়ে ফেলতে চায় পাহাড়ের গুহায়-চির দুঃখ আর অভিমান নিয়ে। হয়তো সে একদিন লুকিয়ে যাবেই। তবু পুরনো সেই ভালোবাসার টানেই নদীর তীর ঘেঁষে অনেকটা পথ মাড়িয়ে তবেই তার দেখা পাই।
কিন্তু হায়! একি তুমি? নাকি তোমারই রূপ চুরি করে অন্য কেউ? কোথায় তোমার সে রূপ-যৌবন আর চঞ্চলতা? তোমার মেঘ কালো চুলে খেলা করে ক্লান্ত গোধূলী। তুমি যে বিগত যৌবনা পাহাড়-কন্যা। বড় অচেনা-অদেখা। তোমার পাথর-চোখের গভীর থেকে নেমে আসা অশ্রু বলছে তুমিই সে দূর পাহাড় থেকে নেমে আসা আমার প্রিয় জাফলং। তাই তোমাকেই ভালোবাসি।
ভিডিও:
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৬
জেডএস