সংসদ ভবন থেকে: প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের বোয়িং ৭৭৭-৩০০ এয়ারক্রাফট রাঙা প্রভাতকে ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি জব্দ করা হয়। তারপরেও কিভাবে প্লেনটি আকাশে উড়লো? কিভাবে প্রধানমন্ত্রীর মতো ভিভিআইপি বহন করা হয় এই প্লেনে? এমন প্রশ্ন রেখেছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ।
তিনি বলেন, ২০১৫ সালের সোনা চোরাচালানের পর জব্দ হওয়ায় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা প্লেনটিকে ঝঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে। প্রধানমন্ত্রীর বহনকারী প্লেনের ত্রুটির দায় মন্ত্রীকেই নিতে হবে। ওনাকে আশস্ত করতে হবে। এ ঘটনায় সংসদীয় তদন্ত কমিটি গঠনেরও দাবি জানান তিনি।
সোমবার (০৫ ডিসেম্বর) রাতে দশম জাতীয় সংসদের ত্রয়োদশ অধিবেশনে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে এ সব কথা বলেন কাজী ফিরোজ রশীদ। এরপর বিমানের ওই ঘটনা নিয়ে কথা বলেন জাতীয় পার্টির অপর সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, জাতীয় সংসদের প্রধান হুইপ আ.স.ম ফিরোজ ও বিএনএফ প্রেসিডেন্ট আবুল কালাম আজাদ।
কাজী ফিরোজ রশীদ আরও বলেন, আমাদের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। তাকে নিয়েই যদি ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রা করা হয়, তাহলে আমরা যারা সাধারণ নাগরিক প্রতিনিয়ত ভ্রমণ করি আমাদের কি হবে।
তিনি বলেন, এই প্লেনটিতে ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ৬২ কেজি সোনা ধরা পড়েছিলো। বিমানের কর্মচারীরা প্লেনের নাট খুলে সোনা নিয়ে আসে। নিচের ফলস সিলিং খুলে দেড় মণেরও বেশি সোনা এনেছিলো তারা। পরবর্তীতে শুল্ক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান ড. মইন খানসহ আমরা তদন্ত করে দেখেছিলাম ইঞ্জিনের পাশে সিলিং এর নাট বল্টু খুলে রাখা হয়েছে। এই প্লেনটির বিভিন্ন জায়গায় খোলা হয়েছিলো।
ফিরোজ রশিদ বলেন, যেহেতু এই প্লেনে ভিভিআইপি চলাচল করেন তাই তখন প্লেনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করে রিপোর্ট দেয় অধিদপ্তর। অর্থাৎ ২০১৫ সালে বিভিন্ন তদন্ত সংস্থা এই প্লেনটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে।
তিনি বলেন, সবকিছু এতো হাল্কা ভাবে নিচ্ছেন। সবকিছু হাল্কা ভাবে নেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ৭০০ কোটি টাকা লাপাত্তা হয়ে গেল আজ পর্যন্ত জানতে পারলাম না বাংলাদেশ ব্যাংকের কারা জড়িত। আইনমন্ত্রী গিয়েছিলেন। তারা যে ভাষণ দিয়েছে সেটা আমাদের কাছে আছে। ফিলিপাইন বলেছে তারা একমত না। তারা বলছে আপনাদের দেশের কারা জড়িত সেই রিপোর্ট আমাদের দেন। তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নিচ্ছেন সেটা জানান।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য আবু হোসেন বাবলা বলেন, ঘটনায় দেশবাসী হতবাক হয়েছে। বিশ্বের কাছে আমাদের ছোট হতে হয়েছে। বিমান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে অবহেলার জন্য কয়েকজন কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কিন্তু কর্মকর্তাদের কিছু করা হয়নি। ওই দিন বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে প্লেনটি।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমানের এই করুণ দশা কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় রাষ্ট্রের আরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত।
বিএনএফ প্রেসিডেন্ট আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা নাকি নাশকতা। এজন্য সংসদীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানাচ্ছি।
চীনের প্রেসিডেন্টের সফরে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না
অস্ত্র সরঞ্জাম ভাড়া দিয়ে বছরে আয় ৪৩৭ কোটি টাকা
বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের ফেরত আনতে কাজ করছে টাস্কফোর্স
'ম্যাডাম সু চির সঙ্গে কথা হয়েছে'
উন্নত দ. এশিয়া গড়তে একত্রিত হয়ে কাজ করার কোন বিকল্প নেই
নারী মাদকাসক্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে
বাংলাদেশ সময়: ২০১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৬
এসএম/আরআই