সিলেট: সিলেটের গোলাপগঞ্জে পল্লী বিদ্যুতের নতুন সংযোগ স্থাপনকে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (০৫ ডিসেম্বর) দুপুরে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের এখলাসপুরের এলাকাবাসী।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, জেলার কানাইঘাট উপজেলা সংলগ্ন যোগাযোগ ও নাগরিক সুবিধা বঞ্চিত বিচ্ছিন্ন একটি গ্রাম এখলাসপুর বছরের চার মাসই পানিতে নিমজ্জিত থাকে এ এলাকা।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এখলাসপুর এলাকার পাঁচ শতাধিক পরিবারকে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেন। ২০১৫ সালে প্রায় ১৩ কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন স্থাপনের মাধ্যমে এ গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছায়।
কিন্তু বিদ্যুতের মিটার স্থাপন প্রতি সাড়ে ৬শ’ টাকা লাগলেও একটি চক্র সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে বিভিন্ন অজুহাতে মিটার প্রতি চার হাজার দুইশত টাকা, খুঁটি সরানো বাবদ ১৫-২০ হাজার টাকা আদায় করে নিচ্ছে এমন অভিযোগ করে এলাকাবাসী।
এ ঘটনার সঙ্গে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর পরিচালক আব্দুল আহাদ জড়িত রয়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। আরও বলা হয়, এখলাছপুর এলাকার মুরব্বি আবুল বশর ও মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন ওরফে নেওয়াই মিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করে নয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে তারা।
ওই কমিটির সদস্যরা এলাকাবাসীর কাছ থেকে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে টাকা আদায় করছে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন এলাকাবাসীরা।
এর আগে ২৩ অক্টোবর বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, দুদক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জেনারেল ম্যানেজাররে কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
অভিযুক্তরা প্রতিবাদকারীদের হুমকি দিচ্ছেন। অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধে শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা চেয়েছেন এলাকাবাসী।
সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় ফখরুল ইসলামের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন পাঠ করেন কাওছার আহমদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এনাম আহমদ, লাল মিয়া ও সাব্বির আহমদ প্রমুখ।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে গোলাপগঞ্জ পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর পরিচালক আব্দুল আহাদ বাংলানিউজকে বলেন, এ ধরনের কোনো কমিটি ওই এলাকায় নেই।
বাংলাদেশ সময়: ২১২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৬
এনইউ/আরআইএস/এমজেএফ