ঢাকা: স্বাধীনতার ৪৪ বছর পরেও সারাদেশে অন্তত ২০টি প্রতিষ্ঠান/ স্থাপনা স্বাধীনতাবিরোধীদের নামে রয়েছে।
মঙ্গলবার (০৬ ডিসেম্বর) হাইকোর্টে উপস্থাপন করা এক আবেদনে এমন দাবি করেছেন অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন ও শাহরিয়ার কবির।
স্থাপনাগুলোর মধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এম এ আলীমের নামে বগুড়ায় জিলা পরিষদ অডিটোরিয়াম ও ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের নামে হবিগঞ্জে বাস স্টপেজ ও একটি এলাকার নাম রয়েছে। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের নামে নরসিংদীর মনোহরদীতে সরকারি শিশু পরিবারের একটি নামফলকও রয়েছে।
এছাড়া পাবনার পিস কমিটির চেয়ারম্যান সাইফুদ্দিনের নামে সিরাজগঞ্জে সাইফুদ্দিন এহিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজে, রাজাকার আব্দুর রাজ্জাক মিয়ার নামে ফরিদপুরে ‘শহীদ’ আব্দুর রাজ্জাক রোড, রাজাকার এনএম ইউসুফের নামে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় দু’টি কলেজ, একই এলাকায় রাজাকার মাহতাব উল্লাহ’র নামে মাহতাব-সায়েরা হাইস্কুল, গাইবান্ধায় রাজাকার আব্দুল আজিজের নামে একটি স্কুল ও একটি ইউনিয়ন কমপ্লেক্স, একই জেলায় স্বাধীনতাবিরোধী আব্দুল জব্বারের নামে ডিগ্রি কলেজ, নোয়াখালীতে রাজাকার তরিকুল্লা’র নামে রোড, ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে রাজাকার মিয়া মনসুর আলীর নামে একাডেমি রয়েছে।
কুমিল্লার রেজাউর রহমানের নামে রেজাউর রহমান রোড, নাটোরে রাজাকার আব্দুস সাত্তার খানের নামে মধু মিয়া রোড, একই এলাকার রাজাকার কাউসার উদ্দিনের নামে কাউসার উদ্দিন রোড, পুরান ঢাকায় মোহাম্মদ তামিমুল ইহসানের নামে রোড, একই এলাকায় মোহাম্মদ উল্লাহ হাফেজ্জী হুজুরের নামে রোড, নেত্রকোনায় রাজাকার মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের নামে রোড রয়েছে।
মেহেরপুরে রাজাকার মিয়া মনসুর আলীর নামে একাডেমি, একই এলাকায় রাজাকার সবদার আলীর নামে একটি রোড ও মার্কেট এবং ঝিনাইদহের শৈলকুপায় রাজাকার শফি আহমদের নামে সফিপুর পোস্ট অফিসের নাম রয়েছে।
আবেদনে বলা হয়, স্বাধীনতাবিরোধীদের নামে এ রকম আরো অনেক প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা রয়েছে।
এ আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সকল স্থাপনা থেকে স্বাধীনতাবিরোধীদের নাম মুছতে ৬০ দিন সময় দিয়েছেন।
** সব স্থাপনা থেকে স্বাধীনতাবিরোধীদের নাম মুছতে ৬০ দিন সময়
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৬
ইএস/এএসআর