কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামে ধীরে ধীরে জেঁকে বসতে শুরু করেছে শীতের প্রকোপ। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে শীতজনিত রোগের প্রকোপ।
প্রতিদিন ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশু ও বৃদ্ধরা ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালে।
এদিকে, শ্রমজীবী মানুষ শীতকে উপেক্ষা করেই বের হচ্ছেন কাজের সন্ধানে। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত ঝরছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো কুয়াশা। সেই সঙ্গে সকালে ঘন কুয়াশা থাকায় হেড লাইটের আলোতে চলাচল করছে যানবাহন।
সোমবার (০৫ ডিসেম্বর) কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ১৮০ জন রোগী। এরমধ্যে শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪০ জন।
কুড়িগ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন চিকিৎসা নিচ্ছেন শতাধিক রোগী। এই রোগীর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি ৪ মাসের শিশু রোগী জামিয়া। বাড়ি চিলমারী উপজেলার প্রত্যন্ত চরাঞ্চলে।
শিশু জামিয়ার মা রেখা খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, ধীরে ধীরে শীতের তীব্রতা বাড়ছে। জন্মের পরপরই শ্বাসকষ্ট থাকায় চিলমারী হাসপাতালে ভর্তি করেছি। কোনো কাজ না হওয়ায় সদর হাসপাতালে পাঠাইছে চিকিৎসকরা।
শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে ভর্তি দুই মাস বয়সী শিশু নুর বানু। বাড়ি উলিপুর উপজেরার প্রত্যন্ত তবকপুর গ্রামে। এরকম বেশকিছু শিশু রোগী ভর্তি রয়েছে।
কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অজয় কুমার রায় বাংলানিউজকে বলেন, শীতের তীব্রতা ধীরে ধীরে বাড়ছে। সেইসঙ্গে হাসপাতালে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যাও। বিশেষ করে শিশুরা ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আমরা সাধ্য মতো চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছি। শীতজনিত রোগের ওষুধের পর্যাপ্ত সরবরাহ ও মজুত রয়েছে।
কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, চিকিৎসাসেবা দেওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা শিশু ও বৃদ্ধা সহ সাধারণ মানুষকে সচেতন করছেন। যাতে শীতজনিত রোগের প্রকোপে মানুষ আক্রান্ত না হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৬
পিসি/