ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

টেকসই উন্নয়নে কাউকে বাদ দেওয়া যাবে না

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০১৬
টেকসই উন্নয়নে কাউকে বাদ দেওয়া যাবে না ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

দারিদ্র, ক্ষুধা ও বৈষম্য- এ তিন সমস্যা দূর করলে সব কিছুর সমাধান হয়ে যাবে। কারণ এ তিন সমস্যার মধ্যেই সবকিছু চলে আসে। এক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠী নয়, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) পূরণে কাউকে বাদ দেওয়া যাবে না। সবাইকেই অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।

ঢাকা: দারিদ্র, ক্ষুধা ও বৈষম্য- এ তিন সমস্যা দূর করলে সব কিছুর সমাধান হয়ে যাবে। কারণ এ তিন সমস্যার মধ্যেই সবকিছু চলে আসে।

এক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠী নয়, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) পূরণে কাউকে বাদ দেওয়া যাবে না। সবাইকেই অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।

বুধবার (০৭ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামান।

নারী-পুরুষ সমতা অর্জনে বাংলাদেশের অবস্থান ও করণীয় শীর্ষক সভাটি আয়োজন করে বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদ।

খলীকুজ্জামান বলেন, সব মানুষই মানুষ। সবারই মানবাধিকার আছে। তাই সবারই সমতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

তিনি বলেন, এসডিজি'র লক্ষ্য হচ্ছে ১৭টি, আর পূরণের সূচক হচ্ছে ২২৫টির মতো। আমাদের মূল সমস্যা তিনটি। তা হচ্ছে-দারিদ্র, ক্ষুধা ও বৈষম্য।

এগুলোর মধ্যেই সব সমস্যা রয়েছে। তাই এগুলো পূরণ করতে পারলে সব সমম্যার সমাধান হয়ে যাবে।

তিনি আরো বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য কাউকেই বাদ দেওয়া যাবে না। তবে সরকার একা তা অর্জন করতে পারবে না। এজন্য বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, গণমাধ্যমসহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

সভায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাক্তন বোর্ড মেম্বার অধ্যাপক হান্নার বেগম বলেন, জাতীয় সংসদের এক-তৃতীয়াংশ আসনে নারীদের সরাসরি নির্বাচনের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। বাজেট বরাদ্দের পাশাপাশি তার ব্যবহার নিশ্চিতকরণ, কর্মক্ষেত্রে নারীর জন্য সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি, প্রতিবন্ধী নারীর সংখ্যা নির্ধারণ, তাদের নির্যাতনের চিত্র তুলে আনা এবং ১৮ বছরের নীচে কোনো মেয়েকেই বিয়ে দেওয়া যাবে না।

স্বাগত বক্তব্যে আয়োজক সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ড. নিলুফার বানু বলেন, একটি দেশ তখন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে, যখন সব ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা পায়। কাজেই ২০৩০ সালের মধ্যে এটা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

সভা পরিচালনা করেন আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান এমএ জলিল। এ সময় বিআইডিএসের প্রাক্তন সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. প্রতিমা পাল মজুমদারসহ অনেকেই বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৬
ইইউডি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।