ঢাকা: বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার থেকে সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ হিমালয়ের পাদদেশ নেপালে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাবেন বাংলাদেশের দুই বাইকার জুন সাদিকুল্লাহ ও এ কে এম আবিদুর রহমান।
‘সমুদ্র সৈকত থেকে হিমালয় কন্যা’ শীর্ষক এবারের ১০ দিনের মিশনে তারা প্রচারণা চালাবেন কক্সবাজারসহ বাংলাদেশের পর্যটন এবং নিরাপদে মোটরসাইকেল চালানো নিয়ে।
ডিসেম্বরের মাঝামাঝি অর্থাৎ আগামী সপ্তাহেই সাদিকুল্লাহ ও আবিদুর তাদের অভিযাত্রা শুরু করবেন বলে আশা করছেন। তারা মনে করছেন, ১০ দিনের অভিযান হলেও তারা ষষ্ঠ দিনেই হিমালয়কন্যায় পৌঁছে যাবেন। মোটরসাইকেলে বাংলাদেশ থেকে এমন উদ্যোগ এটাই প্রথম।
এর আগে মোটরসাইকেলে ৫ দিনে বাংলাদেশের ৬৪ জেলা পরিভ্রমণ এবং একদিনে টেকনাফ থেকে রওয়ানা হয়ে তেতুলিয়া পৌঁছে রেকর্ড গড়েছিলেন সাদিকুল্লাহ।
তার সঙ্গে আলাপে জানা যায়, যাত্রাপথে দুই অভিযাত্রী বাংলাদেশের পর্যটন এবং নিরাপদে মোটরবাইক চালানো ও সড়ক নিরাপত্তার বিভিন্ন স্লোগান নিয়ে প্রচারণা চালাবেন। এ সচেতনতার প্রচারণা বাংলাদেশের সীমান্ত পেরিয়ে ভারত হয়ে নেপাল পর্যন্ত নিয়ে যাবেন। একইসঙ্গে বাংলাদেশের সৌন্দর্য পথে পথে তুলে ধরবেন তারা।
তাদের যাত্রার প্রায় সব প্রস্তুতি এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়ে গেছে। ভারতীয় ভিসা ও একটি কারনেট সুবিধার অনুমতিপত্র পেয়েছেন তারা। আরেকটির জন্য এখন অপেক্ষা করছেন। দু’ একদিনের মধ্যেই এটিও পেয়ে যাবেন বলে আশা করছেন।
এ যাত্রায় সাদিকুল্লার সঙ্গে থাকছে বেগুনি রঙের লিফান কেপিআর ১৫০ সিসি মোটরসাইকল। যার নম্বর ঢাকা মেট্রো ল ৩২-২২৭০। তার সহযাত্রী এ কে এম আবিদুর রহমানের বাহন হিসেবে থাকছে কালো রঙের ইয়ামাহা এম স্লেজ ১৫০ সিসি। যার নম্বর ঢাকা মেট্রো ল ২৬-৩১৪৪।
অভিযাত্রায় তাদের ট্যুর পার্টনার হিসেবে রয়েছে রাসেল ইন্ড্রাস্ট্রি লিমিটেড এবং ফেসবুকভিত্তিক গ্রুপ ‘ক্লাব কেপিআর’। ইঞ্জিন ওয়েল পার্টনার ‘এমজেএল বাংলাদেশ’ আর মোবাইল পার্টনার চীনা মোবাইল কোম্পানি হুয়াই।
জুন সাদিকুল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, যাত্রার প্রথম দিনে তারা ঢাকা থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে কক্সাবাজার যাবেন। পরদিন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে রওয়ানা হয়ে যশোরের বেনাপোল পৌঁছে যাবেন। এর পরদিন ভারতে ঢুকবেন। চতুর্থ দিন তারা শিলিগুড়ি কাকরভিটা সীমান্ত দিয়ে নেপালে ঢুকবেন। পঞ্চম দিন কাকরভিটা থেকে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু চলে যাবেন সাদিকুল্লাহ ও আবিদুর। আর ষষ্ঠ দিন দু’জনে ঘুরবেন কাঠমান্ডু শহরের আশপাশ।
আলাপ করলে সাদিকুল্লাহ ও আবিদুর বাংলানিউজকে জানান, তারা টানা ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার কিলোমিটার বা তারও বেশি মোটরসাইকেল চালিয়ে অভ্যস্ত। এবার কক্সবাজার থেকে নেপাল গিয়ে সেখান থেকে বাংলাদেশে আসা পর্যন্ত তারা প্রায় ৪ হাজার কিলোমিটার রাস্তা মোটরসাইকেলে পাড়ি দেবেন।
সাদিকুল্লাহ তার স্বপ্নের কথা বলেন, বাংলাদেশের সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে মোটরসাইকেলে ভারত ও নেপাল যাত্রা এবারই প্রথম। ভবিষ্যতে আরও বহুদেশে তিনি বাংলাদেশের পর্যটন এবং একইসঙ্গে নিরাপদ মোটরসাইকেল চালানোর বিষয়ে ক্যাম্পেইনে যেতে চান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৬
এসএ/এইচএ/