জৈন্তাপুর (সিলেট) থেকে ফিরে: বাকরুদ্ধ স্বজনরা। স্তম্ভিত এলাকার মানুষ।
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার মহাইল ও থুবাং গ্রামের চিত্র এখন এমন শোকে ঢাকা। বিষাক্ত পটকা মাছ খেয়ে ৬ জন মারা যাওয়ার ঘটনায় আহাজারি চলছে দুই গ্রামে। শোকে কাতর পরিবারগুলোকে সান্ত্বনা দিতে ছুটে আসছেন এলাকার মানুষ ও জনপ্রতিনিধিরা।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বাদ জোহর দুই শিশুসহ ৫ জনের নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। মহাইল গ্রামে এ জানাজা সম্পন্ন হয়। এতে সহস্রাধিক মানুষ অংশ নেন। জানাজা শেষে আব্দুর রহিম (৬০) এবং তার দুই ছেলে সোলাইমান (৩৫) ও লোকমানের (৩০) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। তাদের প্রতিবেশি দুই শিশু রাহিন (৮) ও মনির (৭) ওমানপ্রবাসী বাবা আনিসুল হক বুধবার দুপুরে একটি ফ্লাইটে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন। তিনি বাড়িতে পৌঁছার পর দুই শিশুর দাফন সম্পন্ন হবে।
এছাড়া, বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা যাওয়া শফাতুন্নেছাকেও (৬০) গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হয়েছে। তার দাফনেরও প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে, নিহতদের দাফন-কাফনের জন্য জেলা প্রশাসকের নির্দেশে উপজেলা প্রশাসন থেকে ৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল মাহমুদ বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন। বিষাক্ত পটকা মাছ খেয়ে মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) মৃত্যু হয় মহাইল গ্রামের আব্দুর রহিম, সোলাইমান, লোকমান, রাহিন ও মনির। আর বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় থুবাং গ্রামের আবদুল মুতলিবের স্ত্রী শফাতুন্নেছার।
এ ঘটনায় এখনও ২১ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অসুস্থদের মধ্যে ৭ জন স্থানীয় জৈন্তাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, ৭ জন একটি বেসরকারি হাসপাতালে ও ৭ জন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অসুস্থদের উন্নত চিকিৎসার জন্য তিন সদস্যের মেডিকেল টিম গঠন করেছে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৬
এনইউ/এইচএ/