ঢাকা: স্বাধীনতা যুদ্ধে বাঙালিদের সঙ্গে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছিলেন কিছু ভিনদেশি মানুষও। নিজের দেশ না হলেও তারা লড়েছিলেন এ দেশের মাটির জন্য।
অনেকে আবার এগিয়ে এসেছিলেন যুদ্ধ পরবর্তী ভাঙাচোরা বাংলাদেশকে গড়ার কাজে সাহায্য করতে। আজও তারা বাংলাদেশের বন্ধু। স্বাধীনতার এতো বছর পরেও সেসব বন্ধুদের কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করছে বাংলাদেশ।
যুদ্ধকালীন এমনই কিছু রাশিয়ান বন্ধু বিজয় দিবসের ৪৬তম অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সরকারের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ সফর করছেন।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নৌবাহিনীর সদর দপ্তরে আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে নয় সদস্যের ওই প্রতিনিধি দলকে সংবর্ধনা দিয়েছেন নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ।
এ প্রতিনিধি দলে রয়েছেন রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য কজুরিন ভিক্টর পাভলভিচ, কারামিশেভ ভ্লাদিমির আলেকজান্দ্রোভিচ, সুকানিন আলেকজান্ডার কুজমিক, কলোসকভ নিকোলে নিললায়েভিচ। সঙ্গে তাদের স্ত্রীরাও রয়েছেন। এছাড়া এই দলে মইচানভ ভ্লাদিমির আলেকজান্দ্রোভিচের স্ত্রী মোলচানোভা আন্না মিহায়লোভনাও রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা পৌঁছান তারা। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে ১৮ ডিসেম্বর ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে তাদের।
বাংলাদেশ সফরকালে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি তারা মুক্তিযুদ্ধে শহীদ রাশিয়ার নৌবাহিনীর সদস্য রেড কিনের সমাধিস্থল পরিদর্শন করবেন বলে জানা যায়।
নৌবাহিনী সদর দপ্তরে দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নৌবাহিনী প্রধান সফররত প্রতিনিধি দলটির সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এসময় তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে রাশিয়ার (তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন) বলিষ্ঠ ভূমিকার কথা কৃতজ্ঞতা ভরে স্মরণ করেন। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী চ্যানেলে মাইন অপারেশনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দরকে জাহাজ চলাচল ও বিপদমুক্ত রাখতে রাশিয়ার সহায়তার কথা উল্লেখ করে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে সবসময় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় ছিল। সেই সম্পর্কের নিদর্শন স্বরূপ স্বাধীনতার পরপরই ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাশিয়া সফর করেন।
সেই সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বদ্ধ পরিকর বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৬
জেপি/এসআই