ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

হাজারীখীলে শিকারিদের অস্ত্র-সরঞ্জাম জব্দ, অজগর উদ্ধার

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৬
হাজারীখীলে শিকারিদের অস্ত্র-সরঞ্জাম জব্দ, অজগর উদ্ধার ছবি: সংগৃহিত

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের হাজারীখীল বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে বনবিভাগ, সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটি (সিএমসি) যৌথ টহল দলের অভিযানে শিকারিদের বেশ কিছু অস্ত্র সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। অপরদিকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি অজগর।

ঢাকা: চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের হাজারীখীল বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে বনবিভাগ, সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটি (সিএমসি) যৌথ টহল দলের অভিযানে শিকারিদের বেশ কিছু অস্ত্র সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। অপরদিকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি অজগর।



গত ১২ ডিসেম্বর রামগড়-সীতাকুন্ড ফরেস্ট মৌজার বেতুয়ারখিল সংরক্ষিত এলাকার উডলট বনে অভিযান চালানো হয়। আর তার আগে ১০ ডিসেম্বর ফটিকছড়ি বিট অঞ্চল এলাকার উজানপাড়া গ্রাম থেকে আনুমানিক ৯-১০ ফুট লম্বা ওই অজগরটি উদ্ধার করে পরে গহীন জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।
 
ইউএসএইডস্‌ ক্লাইমেট-রেজিলিয়েন্ট ইকোসিস্টেমস্‌ এন্ড লাইভ্লিহুডস্‌ (ক্রেল) প্রকল্পের হাজারীখীল সাইটের অফিসার মো. তানজিমুল আলম আরিফের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
 
এতে বলা হয়, ১২ ডিসেম্বর ভোরে স্থানীয় ভিলেজ কনজারভেশন ফোরাম (ভিসিএফ) সদস্যের তথ্যের ভিত্তিতে হাজারীখীল বিটের অধীন রামগড়-সীতাকুন্ড ফরেস্ট মৌজার বেতুয়ারখিল সংরক্ষিত এলাকায় উডলট বনে অভিযান চালায় সিএমসি, সিপিজি ও বনবিভাগের স্টাফের সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনী। অভিযানকালে দেখা যায়, একদল শিকারী আগ্নেয়াস্ত্রসহ বন্যপ্রাণী শিকারের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাদের ধরার জন্য দীর্ঘ একঘণ্টা অভিযান চলে। অভিযানরে মুখে দস্যুদল পিছু হটতে বাধ্য হয় এবং গহীন জঙ্গলে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে তাদের ফেলে যাওয়া ১টি  হাতে তৈরি এক নলা বন্দুক, ১টি টর্চ লাইট, ১টি রিচার্জেবল ব্যাটারি, আধা কৌটা বারুদ, ১ কৌটা সীসার গুলি ও ৩ (তিন) ডজন ম্যাচ জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।     
ছবি: সংগৃহিত
তার আগে ১০ ডিসেম্বর মধ্যরাতে ফটিকছড়ি বিট অঞ্চল এলাকার উজানপাড়া গ্রাম থেকে আনুমানিক ৯-১০ ফুট লম্বা অজগরটি উদ্ধার করা হয়। সাপটি হঠাৎ লোকালয়ে বেরিয়ে এসেছিল। লোকজন এর উপস্থিতি টের পেয়ে চিত্‌কার করে সাপটিকে মেরে ফেলার উদ্যোগ নেয়। তত্‌ক্ষণাত্‌ ওই পাড়ার ভিলেজ কনজারভেশন ফোরাম (ভিসিএফ) সদস্যের তথ্যের ভিত্তিতে স্থানীয় সিপিজি সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে অজগর সাপটিকে উদ্ধার করেন। পরের দিন সকালে সিপিজি, সিএমসি ও বনবিভাগের যৌথ উদ্যোগে অজগর সাপটিকে গহীন বনের ভেতরে অবমুক্ত করে দেওয়া হয়।
 
হাজারীখীল বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য বাংলাদেশের একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ রক্ষিত এলাকা। উক্ত রক্ষিত বনাঞ্চলের আয়তন ২৯০৮ হেক্টর। অঞ্চলটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপরূপ লীলাভূমি। এ অভয়ারণ্যের উল্লেখযোগ্য জীববৈচিত্র্য হল বনকুকুর, বনমুরগি, তক্ষক, গিরগিটি, মুখপোড়া হনুমান, বানর, গুইসাপ, বড় অজগর, হরিণ, মেছোবাঘ, বন্যশূকর ইত্যাদি। বৃক্ষরাজির মধ্যে উল্লেখযোগ্য বৃক্ষ হল সেগুন, গর্জন, গামারি, চাপালিশ, তেলসুর, জারুল, লোহাকাঠ, ছাতিয়ান, গুটগুটিয়া, লটকন ইত্যাদি। পাখির মধ্যে রয়েছে মথুরা, শালিক, ঘুঘু, চড়ুই, টিয়া, বক, দোয়েল, ময়না ইত্যাদি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১১০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৬
এইচএ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।