ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সিলেট বিভাগের সাবেক চার প্রশাসকের যতো সম্পদ

নাসির উদ্দিন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৬
সিলেট বিভাগের সাবেক চার প্রশাসকের যতো সম্পদ সিলেটে জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী চার প্রার্থী

সিলেটসহ বিভাগের চার জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন বিদায়ী চার প্রশাসক। নির্বাচন কমিশনে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বিবরণী (হলফনামা) দাখিল করেছেন তারা। 

সিলেট: সিলেটসহ বিভাগের চার জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন বিদায়ী চার প্রশাসক। নির্বাচন কমিশনে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বিবরণী (হলফনামা) দাখিল করেছেন তারা।

 

চার প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের বিদায়ী প্রশাসক ডা. মো. মুশফিক হুসেন চৌধুরী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।  

হলফনামায় দেওয়া তথ্য অনুসারে, নগদ অর্থ ও সম্পদের দিকে এগিয়ে আছেন সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের বিদায়ী প্রশাসক ব্যারিস্টার মো. এনামুল কবির ইমন। বার্ষিক আয়ও তার বেশি, নির্বাচনী ব্যয়ও বেশি দেখিয়েছেন তিনি।  

সবচেয়ে কম সম্পদ সিলেটের অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমানের। বার্ষিক কোনো আয় নেই তার, নির্বাচনে সবচেয়ে কম ব্যয় করবেন তিনি।  

ব্যারিস্টার ইমন নগদ এক কোটি ২৩ লাখ ৫৮ হাজার ৫২২ টাকা, ব্যাংকে জমা ১৫ লাখ ৭ হাজার ৩শ’ টাকা, ৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ১০ তোলা স্বর্ণালঙ্কার, স্থাবর সম্পদের মধ্যে নিজ নামে জমি ২১ শতক (যার মূল্য ৩৫ লাখ ৩৭ হাজার টাকা), ঢাকায় নিজের এবং যৌথ নামে দু’টি ফ্ল্যাটের কথা উল্লেখ করেছেন।  

মধুমতি ব্যাংকে এক কোটি টাকা ঋণ দেখিয়েছেন ইমন। নির্বাচনে সম্ভাব্য অর্থপ্রাপ্তি দেখিয়েছেন আইন পেশা থেকে সঞ্চিত ৩৮ লাখ ৬৫ হাজার  ৮২২ টাকা ও স্ত্রী ব্যারিস্টার ফারজানা শিলার দেওয়া ১৫ লাখ টাকা। তবে সম্ভাব্য ব্যয় দেখিয়েছেন ৪ লাখ ৭২ হাজার ৫০০ টাকা।  

সিলেট জেলা পরিষদের বিদায়ী প্রশাসক অ্যাডভোকেট মো. লুৎফুর রহমানের বার্ষিক কোনো আয় নেই। প্রবাসী দুই ছেলের কাছ থেকে প্রাপ্ত ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন। ব্যাংকে তার জমা টাকার পরিমাণ ১ লাখ ৩৪ হাজার ৭৮১ টাকা।  

তিনি নির্বাচনে সম্ভাব্য অর্থ প্রাপ্তির উৎস দেখিয়েছেন জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে প্রাপ্ত ভাতা থেকে ৫০ হাজার টাকা এবং প্রবাসী দুই ছেলের স্বেচ্ছাপ্রণোদিত প্রদত্ত হিসেবে দেড় লাখ টাকা। এসব অর্থ থেকে তিনি ১ লাখ ৮৭ হাজার টাকায় নির্বাচনী ব্যয় মেটাবেন।  

মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের বিদায়ী প্রশাসক আজিজুর রহমান বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ৩ লাখ ৪৯ হাজার টাকা ও নগদ আছে ৯ লাখ টাকা। নিজের নামে এক দশমিক ৭৯ একর অকৃষি জমি, যৌথনামে দোতলা ভবন।  

নির্বাচনে তিনি সম্ভাব্য অর্থ প্রাপ্তির খাত দেখিয়েছেন নিজের এক লাখ টাকা ও দুই ব্যবসায়ীর স্বেচ্ছাপ্রণোদিত দানকৃত প্রাপ্য চার লাখ টাকা। সম্ভাব্য নির্বাচনী ব্যয় দেখিয়েছেন ৪ লাখ ২৩ হাজার টাকা।

হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের সদ্য সাবেক প্রশাসক মো. মুশফিক হুসেন চৌধুরীর বার্ষিক আয় ১৬ লাখ ৮০ হাজার ৭৩৮ টাকা। হলফনামায় নগদ টাকা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ব্যাংকে সঞ্চয়ী হিসাবে ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা, ডিপিএস ১৯ লাখ ৫৮ লাখ ৭শ’ ৭০ টাকা, সিলকো ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডে ১০ হাজার শেয়ার (টাকার পরিমাণ উল্লেখ নেই) এবং শাহজালাল মেডিকেল সার্ভিসে ২৩ হাজার ও পালস ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ৭৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ, সঞ্চয়পত্রে আমানত ১৮ লাখ টাকা এবং ৫ লাখ টাকা মূল্যের একটি পাজারো জিপ ও সাড়ে ৮ লাখ টাকা মূল্যের কার রয়েছে উল্লেখ করেছেন।

ডা. মুশফিকের অর্থপ্রাপ্তির সম্ভাব্য উৎস নিজ আয় থেকে ৩ লাখ টাকা নির্বাচনী ব্যয় উল্লেখ করেছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৬
এনইউ/জেডএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।