ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শতবর্ষের পুরনো সিন্দুক নিয়ে রাজশাহীতে হুলস্থূল

শরীফ সুমন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৬
শতবর্ষের পুরনো সিন্দুক নিয়ে রাজশাহীতে হুলস্থূল ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাজশাহীতে শতবর্ষের পুরনো সিন্দুক নিয়ে হুলস্থূল কাণ্ড ঘটে গেছে। রোববার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে শহরের সাহেব বাজার এলাকায় একটি পুরোনো বাড়ি ভাঙার সময়...

রাজশাহী: রাজশাহীতে শতবর্ষের পুরনো সিন্দুক নিয়ে হুলস্থূল কাণ্ড ঘটে গেছে।

রোববার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে শহরের সাহেব বাজার এলাকায় একটি পুরোনো বাড়ি ভাঙার সময় সিন্দুকটি বেরিয়ে আসে।

ওই সিন্দুকের মধ্যে গুপ্তধন রয়েছে এমনটা বলাবলি করতে থাকেন লোকজন, এতে সৃষ্টি হয় হৈ চৈ। খবর পেয়ে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। তবে শেষ পর্যন্ত ওই পুরোনো সিন্দুক থেকে কিছু কাগজ, কিছু নতুন ২০ টাকার নোটসহ পুরাতন কিছু মুদ্রা ছাড়া মূল্যবান কিছুই মেলেনি।
ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমবোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন খান বাংলানিউজকে জানান, সাহেব বাজার মনিচত্বর এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা দুলাল মিয়ার বাড়ি ভাঙার কাজ চলছিল। দুপুরে সিঁড়ি ঘরের ভগ্নাংশের মধ্যে শতবর্ষের পুরাতন ওই সিন্দুকটি চোখে পড়ে শ্রমিকদের। এর পর পরই সিন্দুকে গুপ্তধন রয়েছে বলে গুঞ্জন শুরু হয়। দ্রুতই তা গুজবে রূপ নেয়। ভিড় জমে স্থানীয়দের। রাস্তায় লেগে যায় জট। পরে খবর পেয়ে সেখানে যায় পুলিশ ও রাজশাহী বরেন্দ্র জাদুঘরের কর্মকর্তারাও।
ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমতিনি জানান, শেষে পর্যন্ত পুলিশের উপস্থিতিতেই সিন্দুকের তালা ভাঙা হয়। তবে তার ভেতরে কিছু কাগজ, নতুন ২০ টাকার নোট আর কিছু পুরান মুদ্রা ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায়নি।  

পরে বাড়ি মালিককে তা বুঝিয়ে দেওয়া হয় বলেও জানান বোয়ালিয়া থানার ওসি শাহাদাত হোসেন খান।

এদিকে, সাহেব বাজার এলাকার ওই বাড়ির মালিক দুলাল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, তারা বেশ কিছু দিন আগেই বাড়িটি ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে গেছেন। তবে অতিরিক্ত ভারি হওয়ায় বাড়ি ছাড়ার সময় সিন্দুকটি নিয়ে যেতে পারেননি। পরে নিয়ে যাওয়ার জন্য সেটি সিঁড়ি ঘরেই রাখা ছিল। রোববার বাড়ি ভাঙার কাজ চলার সময় সবার চোখ পড়ে সেটি।
ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমবিষয়টি তিনি জানার আগেই তুলকালাম কাণ্ড শুরু হয়। সিন্দুকটি তার বাবার আমলের। এতে গুপ্তধন বা গুরুত্বপূর্ণ কিছু থাকার কোনো সম্ভাবনাই ছিল না বলেও মত দেন দুলাল।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৬
এসএস/ওএইচ/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।