আশুলিয়া, সাভার: ভাঙচুর ও চুরির অভিযোগ তুলে অজ্ঞাত ১৫০ জন ও ১৮ জন শ্রমিকের নাম উল্লেখ করে আশুলিয়া থানায় পৃথক ২টি মামলা করেছে ২ কারখানা কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় ২জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে ফাউন্টেন গার্মেন্টস ও উইন্ডি গ্রুপের পক্ষ থেকে এজিএম মাসুদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
আটককৃতরা হলেন- মাসুদ(২৭), বাকের(২৪)। এরা দুজনেই উইন্ডি গ্রুপের শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো।
আশুলিয়া থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) শাহাদাত হোসেন ও মো. মাসুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, বিজিএমই অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করায় মঙ্গলবার থেকে শ্রমিকরা আশুলিয়া ছেড়ে নিজ নিজ গ্রামে ফিরতে শুরু করেছে।
কয়েকদিন ধরে আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিক অসন্তোষের জের ধরে কারখানা কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নেয়। এমন অনাকাঙ্খিত ছুটির জন্য প্রস্তুত ছিলেন না কোন শ্রমিক। আবার কবে কাজে যোগ দিতে পারবেন তা জানা নেই কারো।
৩২ বছরের শিফালী বেগম পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়ি পাবনা ফিরে যাচ্ছেন। তিনি বাংলানিউজকে জানান, মালিকপক্ষের এমন সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছি না। কিন্তু কিছুই করার নেই। এমন অনিশ্চয়তা ও নিরাপত্তাহীনতার মুখে আশুলিয়া না থেকে বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। কিছু সংখ্যক শ্রমিকের জন্য আমাদের এ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সিরাজুল ইসলাম নামের ফাউন্টেন কারখানার এক শ্রমিক জানান, বিজিএমইএ অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করায় বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। কারখানা চালু হলে আবার চলে আসতে হবে।
অপরদিকে শ্রমিক অসন্তোষের ধাক্কা লেগেছে আশুলিয়ার কাঁচা বাজারগুলোতে। এ আন্দোলনের মুখে বাজারের বেচা বিক্রি অর্ধেকে নেমে এসেছে। এতে লোকসানের মুখে পড়ছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৬
আরএ