ঢাকা: থার্টি ফার্স্ট নাইটে রাজধানীতে বড় নাশকতার পরিকল্পনা নিয়ে বিস্ফোরক সংগ্রহ করছিল আটক জেএমবির পাঁচ সদস্য।
তারা দেশের উত্তরাঞ্চলের রাজশাহী এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুরাতন জেএমবি নেতা জিয়া, হায়দার ও শহিদুল্লাহর নির্দেশে, পরামর্শে বড় হামলার পরিকল্পনা করছিল বলেও জানা গেছে।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান, কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর মিরপুরের দারুসসালাম এলাকা থেকে পুরাতন জেএমবির ৫ জনকে আটক করে সিটিটিসি।
আটকরা হলেন, মো. রিয়াজ ওরফে ইঞ্জিনিয়ার ওরফে রাকিব, মো. আবুবিন সাঈম ওরফে বাপ্পী ওরফে অপু, কাজী আব্দুল্লাহ আল ওসমান ওরফে আহসান, সোহাগ ওরফে চেয়ারম্যান ও মামুন ওরফে হিমেল।
এ সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন প্রকার ৩০ কেজি তরল ও পাউডার জাতীয় পদার্থ এবং বোমা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম, জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়।
মনিরুল ইসলাম বলেন, এসব বিস্ফোরক নিয়ে তারা ঢাকায় আসছিল। এগুলোর মধ্যে কিছু বিস্ফোরক খুব শক্তিশালী। তাদের উদ্দেশ্যে ছিল বোম মেরে, ককটেল মেরে আতঙ্ক তৈরি বা ডাকাতি করা। এই কাজের মাধ্যমে তারা দলের জন্য অর্থ সংগ্রহের পরিকল্পনায় ছিল।
এর কিছুদিন আগে ভারতে পুরাতন জেএমবির কয়েকজন নেতাকে আটক করা হয়েছে, তাদের মধ্যে অন্যতম নেতা ফারুক গ্রেফতার হয়েছে। আর অন্য নেতা সালাউদ্দিন সালেহহীনকে গ্রেফতারের প্রচেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, এই গ্রুপের নেতা হচ্ছেন রিয়াজ ওরফে জিনিয়া ওরফে রাকিব। কিছুদিন আগে ভারতেও গিয়েছিলেন তিনি। সালাউদ্দিন সালেহহীনের সঙ্গে দেখা করে ও পরামর্শ নিয়েই বাংলাদেশে এসে তৎপরতা শুরু করেছেন এই রাকিব।
মনিরুল ইসলাম বলেন, পুরাতন জেএমবির শীর্ষ পর্যায়ের নেতা মাওলানা সাঈদুর রহমান ও তাসনিমকে জেল থেকে বের করতে পারলে তাদের এই সংগঠনটি আরও শক্তিশালী হবে বলে তারা মনে করছেন। এই তাসনিমকে ২০১৪ সালে আমরা গ্রেফতার করেছিলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৬/আপডেট ১৬৩০
এসজেএ/এএটি/আইএ