শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর থেকেই শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
এছাড়া ইংরেজি নববর্ষ-২০১৭ উদযাপনের জন্য মহানগরবাসীর প্রতি বেশকিছু নির্দেশনা দিয়ে দু’দিন থেকে মাইকিংও করা হচ্ছে।
আরএমপির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শনিবার বিকেলের পর থেকে কোনোভাবেই পটকা বা আতশবাজী ফুটানো যাবেনা। হাসপাতাল ও ক্লিনিকসহ স্পর্শকাতর স্থানগুলোর আশেপাশে উচ্চ শব্দে সাউন্ড বক্স বা মাইক ব্যবহার করা যাবেনা।
এছাড়া সব ধরনের অস্ত্র ও বিস্ফোরকদ্রব্য বহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পুলিশের অনুমতি ছাড়া খোলা স্থানে অনুষ্ঠান বা কনসার্ট করা যাবেনা। সন্ধ্যার মধ্যেই নববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে। না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র সিনিয়র সহকারী কমিশনার (সদর) ইফতে খায়ের আলম বাংলানিউজকে জানান, থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে মহানগর এলাকায় তিন শতাধিক অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
দুপুর থেকে শহরের প্রবেশ মুখগুলোতে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। সেখানে যানবাহনে তল্লাশি চলছে। কাউকে সন্দেহজনক মনে হলেই আটক করা হবে। মহানগরীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও কাজ করছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ইফতে খায়ের আলম বলেন, থার্টিফার্স্ট নাইটে কোনো হামলার আশঙ্ক নেই। তবে ঢাকা সদর দফতরের নির্দেশনায় বাড়তি নিরাপাত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপনের রাতে মহানগরীতে কেউ যেন মাদকাসক্ত হয়ে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করতে না পারে, সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৬
এসএস/এসএইচ