ফলে গ্যাংওয়ে থেকে পল্টুনে আসতে যেমন বাঁশের সাঁকো পার হতে হয়, তেমনি লঞ্চে উঠতেও একই ব্যবস্থা বানিয়ে নেওয়া হয়েছে। এতে তরুণরা তেমন ভোগান্তিতে না পড়লেও বৃদ্ধ ও শিশুদের ভোগান্তির কোনো শেষ নেই।
স্থানীয়রা জানান, মুন্সিগঞ্জ, ঢাকা, শরীয়তপুর, মাদারীপুর রুটের মানুষ এই লঞ্চঘাট ব্যবহার করে। বছর তিনেক আগে এই লঞ্চঘাটটিতে নতুন একটি পল্টুন গ্যাংওয়ে স্থাপন করা হয়। এর কিছুদিন পরে পল্টুন এলাকায় নাব্যতা কমে গেলে পল্টুনটি গ্যাংওয়ে থেকে ছাড়িয়ে সামনে এগিয়ে দেওয়া হয় এবং সংযোগের জন্য বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। চলতি বছরে সেখানেও নাব্যতা কমে যাওয়ায় এবার পল্টুনের সামনে থেকে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়, যা লঞ্চে উঠতে সহায়তা করে। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে শিশু, নারী ও বৃদ্ধরা।
উজিরপুরের উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, যাত্রীদের চলাফেরা করার পথ ও পদ্ধতির কারণে সহজে লঞ্চঘাটটির সেবা কেউ নিতে পারছে না। এই ঘাটে প্রবেশে যদি পাঁচ টাকা করে টোল নেওয়া হয়, তবে তার বিনিময়ে কী সেবা দেওয়া হচ্ছে? এই ঘাট প্রতিদিন দুই হাজার লোক উপজেলা সদর ও বিভাগীয় সদররের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষায় ব্যবহার করে থাকেন। এ বিষয়ে তথ্য নিয়ে খুব দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের উপ-পরিচালক আজমল হুদা বাংলানিউজকে জানান, এই সমস্যা সমাধানের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৬
এমএস/এনটি/এসএনএস