সুতরাং কে সেরা লেখাটি লিখলেন, কে সেরা একটি রিপোর্ট করলেন, কে সেরা ছবিটি তুললেন, কে সেরা একটি শিরোনাম দিলেন, কার সম্পাদনা নির্ভুল হলো এমন হাজারো ইন্ডিকেটরে সেরারা নির্বাচিত হন।
কর্মীরা সবদিন সবাই সমান খেলতে পারেন না।
২০১৬-য় এই সেরাদের তালিকায় যারা স্থান পেয়েছেন তারা হচ্ছেন সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, মবিনুল ইসলাম, রমেন দাশগুপ্ত, শারমীনা ইসলাম, আসিফ আজিজ, শুভ্রনীল সাগর, হুসাইন আজাদ, শাহেদ আলী ইরশাদ, দীপু মালাকার, বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন ও মাহবুবুর রহমান মুন্না।
সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
বাংলানিউজের এডিটর ইন চিফ আলমগীর হোসেন শনিবার সন্ধ্যায় বর্ষ সেরাদের তালিকা ঘোষণা করেছেন।
সেরাজুল ইসলাম সিরাজ বাংলানিউজের চিফ অব করেসপন্ডেন্টস হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। মৃদু কণ্ঠে সর্বোচ্চ জোর দিয়ে কথাটি বলা যায়, বিনয়ী থেকেও কাজটি নিরবচ্ছিন্নভাবে কিভাবে করে চলা যায় তা সিরাজের জানা। রিপোর্টিং টিমের সমন্বয়ের পাশাপাশি নিজের রিপোর্টিং অব্যাহত রাখার নিয়মিত উদাহরণ তৈরি করে গেছেন তিনি।
মবিনুল ইসলাম বাংলানিউজের স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট হিসেবে নিয়মিত দেখেন নিম্ন আদালত। তবে অনলাইনে ফ্রেমের বাইরে বের হয়ে গিয়ে পারফরম্যান্স করতে হয় তা না হলে নাম করা যায় না। মবিনুল সেটা পারেন, এবং করেন। ২০১৬-এ তার আরেকটি গুন জানা গেছে তা হচ্ছে- নেতৃত্বের যোগ্যতা। ‘বছর জুড়ে দেশ ঘুরে’ কর্মসূচি বাস্তবায়নে তিনি ছিলেন অন্যতম সমন্বয়কদের একজন।
রমেন দাশগুপ্ত চট্টগ্রাম ব্যুরোর হয়ে বাংলানিউজের স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট। তার লেখনি, রিপোর্টের কাঠামো, ভাষার ব্যবহার আর সর্বোপরি খবরের পেছনের খবর বের করে আনার যোগ্যতা প্রমাণিত। ২০১৬ সালে রমেন দাশগুপ্ত একটি চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশে সকল সংবাদমাধ্যমকে টেক্কা দিয়েছেন। সূত্রের তথ্যেই শতভাগ সত্য খবর তুলে ধরার ক্ষেত্রে ওই প্রচেষ্টাই রমেনকে সেরাদের তালিকায় স্থান করে দিয়েছে।
শারমীনা ইসলাম বাংলানিউজের লাইফ স্টাইল পেজের সম্পাদনা করছেন। একই সঙ্গে বাংলানিউজের সকল সামাজিক কর্মকাণ্ডের নেতৃত্বে থাকেন তিনি। কর্পোরেট জগতের পাশাপাশি অন্যান্য সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে বাংলানিউজের সম্পর্ক উন্নয়নে ২০১৬’য় নিরবচ্ছিন্ন ভূমিকা রেখে গেছেন শারমীনা। একই সঙ্গে নিজের সম্পাদিত লাইফ স্টাইল পেজের উত্তরোত্তর জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছেন যা তাকে স্থান করে দিয়েছে সেরাদের তালিকায়।
আসিফ আজিজ বাংলানিউজের একজন সংবাদকর্মী যার দায়িত্বে রয়েছে শিশুদের পাতা ইচ্ছেঘুড়ি। এটি অন্যতম জনপ্রিয় একটি অংশ। তবে অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর হিসেবে আসিফ আজিজ একই সঙ্গে নেতৃত্ব নেন বার্তাকক্ষের কাজেও। ধীরস্থির শান্ত পরিবেশে নিজের কাজটি করে যাওয়া এবং সহকর্মীদের দিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়ার অসাধারণ দক্ষতা রয়েছে তার। বাইরের অ্যাসাইনমেন্টেও আসিফ একটি দক্ষ হাত।
শুভ্রনীল সাগর বাংলানিউজের ফিচার এডিটর হিসেবে তার দক্ষতার প্রমাণ রেখে চলেছেন। ফিচার বিভাগকে জনপ্রিয় করে তুলতে বাইরে থেকে আসা ও ভেতরের কর্মীদের লেখা ফিচারের সমন্বয়ের পাশাপাশি নিজেও তিনি লিখছেন বিভিন্ন বিষয়ের সুখপাঠ্য ফিচার। অফিসের বাইরে অ্যাসাইনমেন্টেও শুভ্রনীল একই ধরনের পারফরম্যান্সের প্রমাণ রেখেছেন সারা বছর জুড়ে।
হুসাইন আজাদ, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর হিসেবে কাজ করছেন দক্ষতার সাথে। এক হাতে অসংখ্য কাজের কাজি হুসাইন বাংলানিউজের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি হাত। সময় বেঁধে কাজ করার পক্ষে তিনি নন। অ্যাসাইনমেন্ট, হোক তা ঘরের কিংবা বাইরের, সামান্য না নেই। আর দক্ষ বলেই যে কোনও সংবাদ, কিংবা অন্য আইটেম তার হাতে পায় সেরা কাঠামো।
শাহেদ আলী ইরশাদ বাংলানিউজের ব্যাংকিং ও অর্থনীতি খাতে স্টাফ করেসপন্ডেন্ট। খবর দ্রুত বার্তাকক্ষে পৌঁছে দেওয়া, মোবাইল ফোন ডিভাইসে দ্রুত খবর লিখে পাঠানো, ছবি কিংবা ভিডিও পাঠানোর ক্ষেত্রেও শাহেদ ইরশাদের দক্ষতা রয়েছে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরিসহ বেশ কিছু বিষয়ে খবর প্রকাশে তিনি ভালো করেছেন।
যখনই কোনও বড় গুরুত্বপূর্ণ অ্যাসাইনমেন্ট তখনই ছবি তোলার জন্য ডাক পড়ে দীপু মালাকারের। আর নিরবে সকল অ্যাসাইমেন্ট কাঁধে তুলে নিয়ে সেরা কাজটি করে যাওয়ার চেষ্টা তার। এরই মাঝে সুযোগ পেলেই ফটো স্টোরি করা, নিজেই ছবি তুলে তার গল্পটি লিখে ফেলা এসবেই অভ্যস্ত দীপু মালাকার। ২০১৬ সালে তিনিও ছিলেন অন্যতম নিয়মিত খেলোয়াড়।
ঢাকার বাইরে খুলনা ব্যুরো থেকে একের পর এক ভালো রিপোর্ট পাঠিয়ে সারা বছরই আলোচনায় থেকেছেন মাহবুবুর রহমান মুন্না। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট হিসেবে তিনি খুলনার চালচিত্র নিয়ে নানা রিপোর্টের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম, দুর্নীতি নিয়ে খবর লিখেও আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। মুন্না সুন্দর লেখনি আর খবরের গন্ধ খুঁজে ফেরার কাজেও সেরাদের একজন।
সিলেট বিভাগীয় সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন মূলত পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করেন। ২০১৬ সালে শ্রীমঙ্গলে বাংলানিউজের ‘বছর জুড়ে দেশ ঘুরে’ কর্মসূচি আয়োজনে নিজের সাংগঠনিক দক্ষতারও পরিচয় দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও একের পর এক জীব বৈচিত্র্য ও পরিবেশ প্রতিবেশ নিয়ে রিপোর্ট করে বাংলানিউজের পাতাকে সমৃদ্ধ করে রেখেছেন।
এই কর্মীদের সম্পর্কে এডিটর ইন চিফ আলমগীর হোসেনের মন্তব্য ছিলো একটাই- বাংলানিউজের ওরা এগারো জন।
বাংলাদেশ সময় ২০১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৬
এমএমকে