জয়িতা সংগ্রামী নারীদের মুখে হাসি ফুটাচ্ছে। গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশ গ্রহণ করেছে সফল নারীদের জয়িতা।
জয়িতার প্যাভিলিয়ন নম্বর পিআরপি-০২। সফল নারীদের ২৯টি স্টলে শোভা পাচ্ছে হরেক রকমের পোশাক। মসলিন, সুতি কাপড়ের ওপর নকশা আঁকা শাড়ি, থ্রি পিস ক্রেতাদের নজর কাড়ছে। দাম ও মানে অনন্য জয়িতার পণ্য।
জয়িতার হিসাবরক্ষণ অফিসার সামসুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমাদের চাইতে কম দামে কেউ পণ্য বিক্রি করতে পারবে না। কেননা আমাদের প্রতিটি পণ্য জয়িতা সদস্য নারীদের হাতে বানানো, ফলে কম দামে ভালো জিনিসটা আমরাই দিতে পারছি। যেকারণে গত বছরও বাণিজ্য মেলায় ভালো বিক্রি হয়েছে। আশা করি, এবারও সাড়া পাবো। ’
এবার বাণিজ্য মেলায় ২৯টি স্টলের মধ্যে পাঁচটি আছে আচার, চকলেটসহ বিভিন্ন খাবার আইটেমের স্টল। জয়িতায় ৭০০ টাকা থেকে শুরু করে ২৫০০ টাকা মূল্যের কাপড় পাওয়া যাচ্ছে।
১৯নং দুস্থ মহিলা কল্যাণ সংস্থার সম্পাদিকা তাহমিনা সুলতানা বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমরা ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী রুচিশীল পণ্য বাজারে সরবরাহ করি, যে কারণে জয়িতার পণ্যে বরাবরই চাহিদা থাকে। জয়িতা সদস্যদের হাতের কাজ করা কাপড় ও আচার এখানে রাখা হয়। ’
অভাবের তাড়নায় একসময় তাহমিনার সংসারে কালো মেঘ নেমে আসে। কিভাবে বাচ্চাদের বড় করবে, কি খাবে এই নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হতো। জয়িতার সদস্য হয়ে এখন তিনি আলোর পথ দেখাচ্ছে আরও ৪০জন সংগ্রামী নারীকে।
তিনি বলেন, আমাদের মিরপুর অফিসে ৪০ জন জয়িতা সদস্য রয়েছে। এরা প্রত্যেকেই সফল। তাদের হাতের কাজ করা পণ্যই বাণিজ্য মেলায় আনা হয়েছে। আমাদের প্যাকেজ বা ছাড় দিতে হয় না। কেউ একবার জয়িতার পণ্য কিনলে আবার চলে আসেন। বাণিজ্য মেলায় জয়িতার প্রচার ও প্রসার ঘটে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৬
এসএম/পিসি
***বাণিজ্য মেলায় শিশু পার্ক