জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, তিন দিনব্যাপী এ মেলায় ৫০টি স্টলে জেলা পর্যায়ের সব সরকারি দপ্তর, বিভাগ ও প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছে। এসব স্টলে বর্তমান সরকারের আমলে (২০০৮ সাল থেকে অদ্যাবধি) নিজ নিজ দপ্তরের গৃহীত ও বাস্তবায়িত উন্নয়নমূলক কর্যক্রমের ভিডিও এবং স্থির চিত্র প্রদর্শন করা হবে।
উন্নয়ন মেলা সফল করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতির পাশাপাশি মেলায় আমন্ত্রণ জানাতে এবার ডিজিটাল প্রচারণা শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। এর অংশ হিসেবে মেলার বিষয়বস্তু তুলে ধরে এক ভিডিও বার্তায় সবাইকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) তপন কুমার বিশ্বাস।
সম্প্রতি জেলা প্রশাসক তার ফেসবুকে (DC Bagerhat Tapan Biswas) ভিডিওটি পোস্ট করেন।
শেখ হাসিনার দর্শন সব মানুষের উন্নয়ন- শীর্ষক চার মিনিটি আট সেকেন্ডের ভিডিওটিতে বাগেরহাটে নির্মাণাধীন খানজাহান আলী বিমান বন্দর, খননের মাধ্যমে প্রাণ ফিরে পাওয়া মংলা-ঘষিয়াখালি নৌ পথ, নির্মাণাধীন খুলনা-মংলা রেল লাইন, মংলা সাইলো (খাদ্য গুদাম), মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ বাগেরহাটের উন্নয়নে সরকার গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্প তুলে ধরা হয়েছে।
ভিডিও বার্তায় জেলা প্রশাসক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশের দ্রুত বিকাশমান উন্নয়নের ধারাকে জনগণের মধ্যে তুলে ধরতে এই উন্নয়ন মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। বাগেরহাটে প্রধানমন্ত্রীর বেশ কয়েকটি অগ্রাধিকার ভিত্তিক উন্নয়ন প্রকল্প রয়েছে। প্রকল্পগুলোর সফল বাস্তবায়ন এ অঞ্চলের মানুষের জীবন জীবিকার মানোন্নয়নের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও ভূমিকা রাখবে।
উন্নয়ন মেলা-২০১৭ সম্পর্কে জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্মিত ভিডিও চিত্রটি স্থানীয় কেবল টিভিতে প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভিডিওটির মাধ্যমে মেলার বিষয়ে স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহের সৃষ্টি হয়েছে।
মেলায় জেলা প্রশাসনের স্টলে বাগেরহাট জেলায় প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত মোট ১৮টি প্রকল্পের মধ্যে বাস্তবায়িত সাইলো, মংলা বন্দরের পশুর নদী ড্রেজিং, মেরিন টেকনোলজি ইনস্টিটিউটসহ পাঁচটি বড় প্রকল্প এবং বাস্তবায়নাধীন খুলনা-মংলা রেলপথ, খানজাহান আলী বিমানবন্দর, রামপাল তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রসহ পাঁচটি মেগা প্রকল্পের অগ্রগতি প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হবে।
জেলার পাশাপাশি প্রতিটি উপজেলায়ও ‘উন্নয়ন মেলা’র আয়োজন করা হচ্ছে। এসব মেলায় ব্যানার, ফেস্টুনের মাধ্যমে সরকার গৃহীত উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের চিত্র তুলে ধরার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মেলার সময় রচনা প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পট গান, উন্নয়নমূলক প্রকল্পের প্রামাণ্য চিত্র এবং স্থির চিত্র প্রদর্শন করা হবে। ৯ জানুয়ারি থেকে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী এ মেলায় সবার উপস্থিতি ও সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
মেলার উল্লেখযোগ্য অংশ জেলা প্রশাসকের ফেসবুকের মাধ্যমে সরাসরি প্রদর্শন এবং সার্বিক কার্যক্রম ও আয়োজনের বিষয় পর্যালোচনা করে তিনটি স্টলকে শ্রেষ্ঠ হিসেবে পুরস্কৃত করা হবে বলে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৭
এসআই