রোববার (৮ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ইউএনও কার্যালয়ে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
আজিম উদ্দীন সর্দার বাংলানিউজকে জানান, পিইডিপি-৩ এর আওতায় ও এলজিইডির তত্ত্বাবধানে ৬৩ লাখ ৫২ হাজার ৫শ’ টাকা ব্যয়ে নবীনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ চলছে।
দুপুরে তিনিসহ গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফ উজ জামান, গাংনী উপজেলা প্রকৌশলী মাহবুবুল হক ও উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এহসান হাবীব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
আজিম উদ্দীন জানান, সরেজমিন দেখা গেছে, নিম্নমানের ইট, রড, বালু ও সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। সিডিউল মোতাবেক কোনো উপকরণ ব্যবহার করা হয়নি। ঢালাইয়ের ক্ষেত্রে বালু, সিমেন্ট ও খোয়ার সমন্বয় করার যে নিয়ম রয়েছে সেটিও মানা হয়নি। ঢালাইয়ের কাজে সামান্য সিমেন্ট দিয়ে শুধু বালু ও নিম্নমানের খোয়া দেওয়া হয়েছে। সিমেন্টের পরিমাণ একেবারেই কম। যে কারণে ধসে পড়েছে বিল্ডিংয়ের চৌকি এবং সিঁড়ি। নির্মাণাধীন বিল্ডিং এ ব্যবহৃত নমুনা আলামত হিসেবে সংরক্ষণের জন্য সিলগালা করে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া সরকারি কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী এ অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, প্রধান প্রকৌশলী দেশে ফেরার পর তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
এর আগে শনিবার (০৭ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে নওপাড়া নবীনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিল্ডিংয়ের সিঁড়ি ঢালাইয়ের মাত্র ১৫ দিনের মাথায় ধসে মোক্তার হোসেন নামে এক শ্রমিক আহত হন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৭
আরবি/আরএ