ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সহিষ্ণুতা ও আস্থার সংস্কৃতির বিকল্প নেই: রাষ্ট্রপতি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০১৭
সহিষ্ণুতা ও আস্থার সংস্কৃতির বিকল্প নেই: রাষ্ট্রপতি

ঢাকা: রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পরমত সহিষ্ণুতা ও পারস্পরিক আস্থার সংস্কৃতি গড়ে তোলার বিকল্প নেই।

রোববার (০৮ জানুয়ারি) বঙ্গভবনে নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত বিষয়ে গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনাকালে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।

রাজনৈতিক দলগুলো সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে ঐক্যমতে পৌঁছাতে সর্বাত্মক প্রয়াস চালাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস উইং গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানায়।

গণফোরাম নেতারা বলেন, গণতন্ত্রের বিকাশে আলোচনা অপরিহার্য। আলোচনার মাধ্যমে যে কোনো সমস্যার সমাধান সম্ভব।

রাষ্ট্রপতি সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করতে সক্ষম হবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন ড. কামাল হোসেনের গণফোরাম।

তারা বলেন, স্বাধীন ও শক্তিশালী কমিশন ছাড়া জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন অত্যন্ত জরুরি।

অনুসন্ধান কমিটি গঠন, কমিটিতে নারী ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের অন্তভূক্ত করার প্রস্তাব দেয় গণফোরাম।

তারা বলেন, আমাদের সংবিধানে জনগণ সব ক্ষমতার মালিক। আর তা বাস্তবায়নের জন্য আজকের আলোচনা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দলমত সবারই ঐক্যমত রয়েছে। গণফোরাম বিশ্বাস করে রাষ্ট্রপতি এ ব্যাপারে সফল হবেন।

দলটির নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী ৯ দফা প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।

নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত আলোচনায় বঙ্গভবনে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য গণফোরামের সভাপতি রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতি যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ বলেও উল্লেখ করেন গণফোরাম নেতারা।

আলোচনাকালে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টুসহ প্রতিনিধিদলের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে নির্বাচন কমিশন গঠন বিষয়ে পৃথক আলোচনায় প্রধান নির্বাচন কমিশনসহ অন্যান্য কমিশনার নিয়োগে সাংবিধানিক কাউন্সিল গঠনসহ আটটি প্রস্তাব দিয়েছে গণতন্ত্রী পার্টি। সাংবিধানিক কাউন্সিলের বিকল্প হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের প্রতিনিধিদের নিয়ে সার্চ কমিটি গঠনের কথাও বলে সংগঠনটি।

যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত ও দণ্ডিত, যুদ্ধাপরাধীদের পরিবার ও তাদের সংগঠনের সঙ্গে জড়িতরা যেন নির্বাচনে অংশ নিতে পারে সে প্রস্তাবও দিয়েছেন দলটির নেতারা।

গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি আরশ আলীর নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখ‍া করেন।

বাংলাদেশ সময়: ০২০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৭
এমইউএম/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।