আলোমতি ও প্রেমকুমারের মিলনের মধ্যে দিয়ে যাত্রাপালা 'আলোমতি প্রেমকুমার' যেমন শেষ, তেমনি এ যাত্রাপালার পরিবেশনের মাধ্যমে শেষ হলো তিনদিন ব্যাপী পৌষমেলার।
শুক্রবার (০৬ জানুয়ারি) বাংলা একাডেমিতে শুরু হওয়া পৌষমেলার পিঠা উৎসবে অংশ নেয় ২৭টি স্টল।
মেলার তিনদিনেই প্রচুর ক্রেতার আগমন ঘটে। পৌষমেলাকে কেন্দ্র করে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ উৎসবমুখর হয়ে উঠেছিলো।
শেষ দিনেও যথারীতি সকাল ৮টায় মেলা প্রাঙ্গণ সবার জন্য উন্মোক্ত করে দেওয়া হয়। সারা দিন প্রচুর দর্শনার্থী ও পিঠাপ্রেমীদের সমাগম ঘটে। স্টলের সামনে দাঁড়িয়ে পৌষের পিঠার স্বাদ উপভোগ করে মানুষ।
পৌষমেলার শেষ দিনের আর্কষণ ছিলো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিকেল ৪টায় প্রচুর দর্শকের উপস্থিতি পৌষের আগমনী গান 'পৌষ তোদের ডাক দিয়েছে...' দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান।
এরপর 'মুসলমান ভাই-বোনের আমার সালাম, হিন্দু ভাই-বোনদের আমার নমস্কার' জানিয়ে প্রেম, বিচ্ছেদ ও ভালোবাসার বাউল গান নিয়ে আসেন বাউল আবু সাঈদ। একে একে বেশ কয়েকজন বাউল শিল্পী নিজের ও তাদের গুরুর রচিত গান শুনিয়ে যান।
বাউলদের পরে আসেন দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নজরুল সংগীত শিল্পী ফেরদৌস আরা। প্রথমে সিনেমায় ব্যবহৃত একটি নজরুল সংগীত গেয়ে শোনান দর্শকদের। শেষে 'পদ্মার ঢেউরে তোর শূন্য হৃদয় পদ্ম নি যা...' জনপ্রিয় নজরুল গীতিটি শুনিয়ে বিদায় নেন।
এরপর বিভিন্ন শিল্পীর কণ্ঠে 'মধু হই হই আরে বিশ খাওয়ালা' 'বন্দে মায়া লাগাইছে' 'তুই যদি আমার হইতিরে' -এই জনপ্রিয় গানগুলো শোনা যায়। তবে এর ফাঁকে ফাঁকে পৌষ, শীতকাল নিয়ে কবিতা আবৃতি করে মুক্তধারা আবৃতি চর্চাকেন্দ্র, নৃত্য পরিবেশন করে বুলবুল লতিতাকলা একাডেমির শিল্পীরা।
শীতেরর পিঠা ও পৌষের বর্ণনা নিয়ে পুঁথি পাঠ করেন আব্দুল আজিজ। এরপরেই শেষ আর্কষণ হিসেবে মানব-মানবীর ভালোবাসার চিরন্তন আবেদন নিয়ে রচিত যাত্রা-পালা 'আলোমতি প্রেমকুমার' পরিবেশন করা হয়।
বেশ উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন পৌষমেলায় আগত দর্শনার্থীরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৬২২ ঘণ্টা, জানুয়ানি ০৯, ২০১৭
এমসি/এসএইচ