ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আশায় বুক বাঁধছেন ডিএনসিসি’র ব্যবসায়ীরা 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১৭
আশায় বুক বাঁধছেন ডিএনসিসি’র ব্যবসায়ীরা  পুড়ে যাওয়া দোকান পরিষ্কার করছেন ব্যবসায়ীরা

ডিএনসিসি মার্কেট ঘুরে: রাজধানীর গুলশান-১ নম্বরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া ডিএনসিসি মার্কেটের একাংশ চালু হয়েছে। মার্কেটের প্রায় ৫০টির মতো দোকানে চলছে ধোয়া, মোছা ও রংয়ের কাজ। অগ্নিকাণ্ডে শেষ সম্বল হারিয়ে আবারো নতুন আশায় বুক বাঁধছেন ব্যবসায়ীরা। 

সরেজমিন ডিএনসিসি মার্কেটে দেখা যায়, কাঁচামালের মার্কেট থেকে এখনো ধোয়া রেব হচ্ছে। এছাড়া ডিএনসিসি’র দোতলা মার্কেটের কেচি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে।

মার্কেটের দোকানগুলো থেকে পুড়ে যাওয়া মালামাল সরিয়ে নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। প্রায় ৫০টির মতো দোকানে ধোয়া, মোছার কাজ চলছে। এছাড়া দোতলা মার্কেট থেকে ধসে যাওয়া কাঁচা বাজারের মার্কেটটিকে পরিষ্কারের জন্য পানি দিচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।  

ডিএনসিসি মার্কেটে দোকানের পুড়ে যাওয়া মালামাল সরিয়ে পরিস্কার করছিলেন আমিনুল ইসলাম। মার্কেটে মিতা প্লাজা নামে বাচ্চাদের খেলনার একটি দোকান ছিল তার। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, আগুনে সব কাইড়া নিছে আপা। কয়লা আর ছাই ছাড়া কিছুই নাই। আগুনে পথের ফকির বানাইয়া দিছে। ২৫ বছরের ব্যবসা ধ্বংস হইয়া গেছে।  

তিনি বলেন, কি আর করা, কপালে থাকলে কিছু করার নাই। গোডাউনে কিছু মালামাল কেনা ছিল তাই দিয়ে আবারো নতুন কইরা দোকান সাজানোর চেষ্টা করছি। আগুনে তার প্রায় ৮০ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

ওই ব্যবসায়ী আরো বলেন, পুড়ে যাওয়া দোকানের জন্য খারাপ লাগছে। কিন্তু আবারো ব্যবসা শুরু করতে পারছি মনে করে ভালো লাগছে। মাটি থাকলে ফসল হয়। মালামাল পুড়ছে কিন্তু দোকান আছে। আর এই দোকান দিয়ে আবারো ঘুরে দাঁড়াতে চান তিনি।  

মার্কেটের একটি দোকানে সিরিস কাগজ দিয়ে ঘষা ও রংয়ের কাজ করছিলেন লাল মিয়া ও শামিম। তারা বাংলানিউজকে বলেন, শনিবার সকাল থেকে কাজ শুরু করেছেন। একটি দোকানে কাজ করতে তিন দিনেরও বেশি সময় লেগে যেতে পারে।      

ডিএনসিসি’র দোতলা মার্কেটটি থেকে কাঁচাবাজারে মার্কেটে ধোয়া নিবারণে পানি দিচ্ছিলেন গাজীপুর ফায়ার ব্রিগেডের সিনিয়র স্টেশন অফিসার রফিকউজ্জামান।  
 
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, কাঁচাবাজারের ওই মার্কেটে অনেক দোকানে দাহ্য পদার্থ থাকায় এখনো ধোয়া বের হচ্ছে। আমরা তা দূর করতে কাজ করছি।  

ডিএনসিসি মার্কেটের সহ-সভাপতি এস এম তালাল রেজবী বাংলানিউজকে বলেন, ডিএনসিসি’র এ মার্কেটের দোকান সংখ্যা ২৩৪টি। এর মধ্যে শুক্রবার প্রায় ৩৫টির মতো চালু করা হয়েছে।  

এছাড়া শনিবার থেকে প্রায় ৫০টি দোকানে ধোয়া, মোছা ও পুড়ে যাওয়া মালামাল সরানোর কাজ চলছে। সংস্কার কাজ শেষ হলে দোকানগুলো চালু করা হবে বলেও জানান তিনি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৭
আরএটি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।