উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরিশালবাসীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মতবিনিময় করেন।
কনফারেন্সের শুরুতে বরিশাল জেলা প্রশাসক ড. গাজী মো. সাইফুজ্জামান বরিশালে মানুষের বীরত্ব-সংস্কৃতি, বরিশালের ইতিহাস-ঐতিহ্য, জেল খাল উদ্ধার, ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে সমস্যার তথ্য তুলে ধরা এবং এর সমাধান করার বিষয়ে কথা বলেন।
এরপর তিনি দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ, লেবুখালি সেতু নির্মাণ, পায়রা বন্দর নির্মাণসহ সব উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন।
এসময় উন্নয়নের ক্ষেত্রে সব সময় দক্ষিণাঞ্চলের কথা বিবেচনা করায় বরিশালবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানান জেলা প্রশাসক।
দক্ষিণাঞ্চলে জঙ্গিবাদ নেই উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক আরও বলেন, বরিশালের মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের উন্নয়নে অংশগ্রহণ করছে এবং করবে।
এরপর নারীদের ক্ষমতায়নের বিষয়ে ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বরিশাল আভাসের নির্বাহী পরিচালক রহিমা সুলতানা কাজল।
এসময় তিনি বলেন, আজ দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের কারণে প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি নারীরা পুরুষদের পাশাপাশি সমানভাবে সুযোগ-সুবিধাও ভোগ করতে পারছে।
তিনি নারী কৃষকদের কৃষাণি শব্দটি ব্যবহার না করার অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, সমানভাবে কাজ করেও শুধু কৃষাণি নামের কারণে তারা সব সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।
এর উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষি কাজে সম্পৃক্ত নারীরা যাতে সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত না হয়, সেই বিষয়টি দেখবো। তবে কৃষাণি নামটি তো ভালো শোনায়।
বরিশালের দপদপিয়া এলাকার সন্তান বিশিষ্ট অভিনেত্রী সূর্বর্ণা মোস্তফা সম্প্রতি নিজ জেলায় এসেছেন সরকারি অনুদানের ছবির শ্যুটিং করতে।
তাকে ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত দেখে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্য শুনতে চান। এসময় সূর্বর্ণা মোস্তফা বলেন, এটা আমার জন্য অদ্ভূত অনুভূতি, বরিশালে বাবার বাড়ি হলেও এবার প্রথম এসেছি। এখানে আসার পর নিজেকে খুব সিকিউরড ফিল করছি, এখানকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি চমৎকার, দূষণও কম।
তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, আপনার পরামর্শে ও নেতৃত্বে দেশ আরও সুন্দরভাবে এগিয়ে যাক এ কামনা করছি। আমরা সবাই মিলে এরকম কনফারেন্স করতে পারছি, আপনি দীর্ঘায়ু হন, আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। আপনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আরও অনেক অনেক পথ চলতে পারবে এবং যে উন্নয়নের স্বপ্ন আপনি দেখেন, সে উন্নয়নের বাংলাদেশ দেখবেন আপনি।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে আরও উপস্থিত ছিলেন-খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কায়কোবাদ, বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো. গাউস, বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি শেখ মো. মারুফ হাসান, বরিশালের পুলিশ সুপার এস এম আকতারুজ্জামান, বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সভাপতি এসএম ইকবাল প্রমুখ।
এদিকে, মেলা উদ্বোধনের আগে সকাল ১১টায় নগরে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বের হয়ে নগরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
মেলায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ও এনজিও’র ১৪৪টি স্টল স্থান পেয়েছে। ১১ জানুয়ারি এই মেলা শেষ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৭
এমএস/আরবি/এসআই