সোমবার (০৯ জানুয়ারি) বাংলানিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন) মেজর এ কে এম শাকিল নেওয়াজ।
শাকিল নেওয়াজ বলেন, ১৯৯৩ সালে বিল্ডিং কোড হলেও তার আগে করা হাজারো বিল্ডিং আজ ঝুঁকিপূর্ণ, তাছাড়াও নতুন অনেক বিল্ডিং আগুন নিয়ন্ত্রণে সক্ষম নয়, দুর্বল মানের ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা, নিরাপদ সিঁড়ি না থাকায় কারণে-অকারণে আগুন লাগলেও তা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
এদিকে রাজধানী ছেয়ে গেছে বিপজ্জনক তারের ঝুলিতে। এই গুলো বিভিন্ন দুর্যোগে বিপদজনক হিসেবে সামনে দাঁড়াবে। বারবার সময় দেওয়ার পরও বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ঝোলানো এই তারের জট সরানো যাচ্ছেনা কোনো ভাবেই, রাজধানীর সড়কগুলোসহ বড় বড় কমার্শিয়াল বিল্ডিংয়ের সামনে বিপজ্জনক অবস্থায় ঝুলছে স্যাটেলাইট ক্যাবল অপারেটরদের ডিশলাইন ও ইন্টারনেটের শত শত তার।
এই বিষয়ে ফারার সার্ভিস বাংলানিউজকে জানায়, আমরা বার বার ঝুলে থাকা এই তার নিয়ে কথা বলেছি, এই গুলোর ভয়াবাহ দিক গুলো আমরা বুঝাতে চেয়েছি, কিন্তু সেই অর্থে মানুষের কাছ থেকে সারা পাইনি।
২০১১ সালের ডিসেম্বর মধ্যে এসব তার সরে ফেলার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হলেও ২০১৭ গিয়েও তার শেষ হয়নি, কিছুদিন ভিআইপি সড়কে এই তারের জঞ্জাল অপসারণে অভিযানও চালানো হয়েছিল। কিন্ত গত ৩ বছরে এ ব্যাপারে আর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বিদ্যুৎ বিভাগ বা বিটিআরসি।
অন্যদিকে আবার, মাঝে মাঝেই সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরাও দীর্ঘ দিন ধরে বাংলাদেশে শক্তিশালী ভূমিকম্প এবং সুনামির আশঙ্কা করছেন। এর লক্ষণ হিসেবে প্রায়ই দেশের কোথাও না কোথাও এভাবে মৃদু ও মাঝারি মাত্রায় ভূমিকম্প হচ্ছে।
বিল্ডিং কোড না মেনে তৈরি করা যে ভবন গুলো রয়েছে তা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে। ঢাকার ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তই কার্যকর হচ্ছে না। ২০১১১ সালে বাধ্যতামূলকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোতে সাইনবোর্ড লাগানোর কথা থাকলেও তার কার্যকর হয়নি। তবে এবার ঝুঁকিপূর্ণ প্রমাণ হলে কোনো সাইনবোর্ড নয়, সঙ্গে সঙ্গে সিলগালা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা নিম্নতম পর্যায়ে রাখাতে বাড়িঘর ও হাসপাতালসহ সরকারি-বেসরকারি ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে বিল্ডিং কোড কঠোরভাবে মেনে চলার পরামর্শও দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৭
এসটি/বিএস