ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জাতির পিতা যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু করেছিলেন

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৭
জাতির পিতা যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু করেছিলেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে: দেশে ফিরে এসে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছিলেন জাতির পিতা। কিন্তু ১৫ আগস্টে তাকে হত্যার পর যুদ্ধাপরাধীদের মুক্ত করে দেয় জিয়াউর রহমান।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশের বক্তব্যে এ কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ১০ জানুয়ারি বাঙালির জীবনে একটি ঐতিহাসিক দিন।

এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ দিয়েছিলেন জাতির পিতা। তার আহ্বানে সাধারণ মানুষ অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলেন। ৩২ নম্বরের বাড়ি থেকে যে নির্দেশ জাতির পিতা দিতেন বাঙালিরা সেই নির্দেশ মেনে নিতেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ইয়াহিয়া খান ফাঁসি দিয়ে জাতির পিতাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। বিশ্বজনমতের চাপে শাসকরা তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। ১০ জানুয়ারি তিনি ফিরে এসে সর্বপ্রথম এসেছিলেন এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।

দেশে ফিরে এসে একটি বিধ্বস্ত দেশকে জাতির পিতা গড়ে ত‍ুলতে চেয়েছিলেন। যুদ্ধের ভয়াবহতা কাটিয়ে উঠে যখন মানুষ জাতির পিতার নেতৃত্বে দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছিলেন তখন জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়। ’

মুক্তিযুদ্ধে যারা হানাদার বাহিনীর সহচর ছিল, যারা গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে ছারখার করেছিলো, সেই সমস্ত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার জাতির পিতা শুরু করেছিলেন। কিন্তু ১৫ আগস্টে তাকে হত্যার পর যুদ্ধাপরাধীদের মুক্ত করে দেয় জিয়াউর রহমান, বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৬
এমজেএফ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।