ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি নিয়ে বাণিজ্য মেলায় প্যাভিলিয়ন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৭
বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি নিয়ে বাণিজ্য মেলায় প্যাভিলিয়ন বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি নিয়ে বাণিজ্য মেলায় প্যাভিলিয়ন

বাণিজ্য মেলা ঘুরে: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যার জন্ম না হলে একটি স্বাধীন দেশের জন্ম হতো না। তাইতো স্বাধীনতার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুর লেখা বিভিন্ন চিঠি ও স্মৃতি বিজড়িত ছবি নিয়ে বাণিজ্য মেলায় করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন।

বুধবার (১১ জানুয়ারি) ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় গিয়ে দেখা যায়, মেলায় বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়নে দর্শণার্থীদের উপচে পড়া ভিড়।

মেলার প্রধান গেট দিয়ে মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতেই চোখে পড়বে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন।

প্যাভিলিয়নের সামনে ৭ মার্চের ভাষণরত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি নির্মাণ করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করছেন শিক্ষার্থী আলামিনসহ তার কয়েকজন বন্ধু

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন এসেছেন শিক্ষার্থী আলামিনসহ তার কয়েকজন বন্ধু। বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে চাইলে আলামিন বাংলানিউজকে বলেন, বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে কিবা আমরা জানি। তবে মেলায় এসে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম ও দেখলাম। কিন্তু এই বিষয়গুলো যদি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফ্রি দেওয়া হয় তাহলে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে আমরা আরও বেশি জানতে পারবো।

প্যাভিলিয়নে প্রবেশ করতেই চোখে পড়বে ১৯৬৯ সালের ১৩ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে লেখা বঙ্গবন্ধুর চিঠি। যে চিঠিতে বঙ্গবন্ধু লিখেছিলেন, ‘হাসু মণি, সীমার স্নেহ ও ভালবাসা নিও। ওয়াজেদের চিঠি পেয়েছিলাম, উত্তর ও দিয়েছি বোধ হয় পেয়ে থাকবে। জেল হতে বের হয়ে তোমাকে ভালো করে দেখতেও পারি নাই। তবু তোমার শরীরের দিকে চেয়ে তোমাকে যেতে দিয়েছি। শরীরের প্রতি যত্ন নিও। ওয়াজেদের শরীর কেমন?...চিন্তা করিও না সুইডেন খুব সুন্দর দেশ। তোমাদের খুব ভাল লাগবে। ইতি তোমার আব্বা। ’

প্যাভিলিয়নে রয়েছে- ১৯৪৭ সালের ২৭ জুলাই কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হয়ে বাবা শেখ লুৎফর রহমান ও অন্যান্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু, ১৯৪৮ সালের ১১মার্চ বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে সচিবালয়ের সামনে আন্দোলনরত অবস্থায় আটক হওয়ার দৃশ্য, ১৯৫৩ সালের ডিসেম্বরে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনের প্রার্থী মনোনয়ন বৈঠকের স্মৃতি, যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাকে নতুন করে গড়ে তোলার ভাষণরত অবস্থার স্মৃতি, ১৯৭১ সালের ২৬মার্চ বঙ্গবন্ধুর দেওয়া স্বাধীনতার ঘোষণা, ১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর বিশ্ব শান্তি পরিষদ বঙ্গবন্ধুকে জেনেভায় ‘জুলিও কুরি’ ভূষিত হওয়ার দৃশ্য, নির্বাচনে নিরঙ্কুশ ভোটে জয়লাভ করার পর দলের কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু।

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করছেন শিক্ষার্থী আলামিনসহ তার কয়েকজন বন্ধু

এছাড়া, ১৯৭২ সালের ২৪মে ঢাকায় আসেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এসময় কবি ভবনে ফুলের শ্রদ্ধা জানান বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ বেতারের শিল্পীদের সঙ্গে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু, টাঙ্গাইলে মাওলানা ভাষানীর সঙ্গে সাক্ষাতের দৃশ্য, ১৯৭৪ সালে দ্বি-পাক্ষিয় সম্মেলনে বাংলাদেশে আসেন ভারতের রাষ্ট্রপতি ভি ভি গিরি’ তখনকার স্মৃতি বিজড়িত ছবি, ১৯৭৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আলোচনা করতে আসেন তৎকালীন জাতিসংঘের সহাসচিব কুর্ট ওয়েল্ডহাইম।

অপরদিকে, ১৯৭৩ সালে কানাডায় কমনওয়েলথ শীর্ষক সম্মেলনে দ্বিতীয় রানী এলিজাবেথের সঙ্গে সাক্ষাতের বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি। বঙ্গবন্ধুকে হিমালয়ের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন সেই কিউবার প্রেসিডেন্ট ফিদেল ক্যাস্ত্রোর সঙ্গে কিছু মুহুর্তের দৃশ্য এবং বিখ্যাত কবি ও সেনেগালের প্রেসিডেন্ট লিওপোল্ড সেনগরের সঙ্গে আলাপচারিতার কিছু মুহুর্তসহ প্রায় অনেক স্মৃতি বিজড়িত বঙ্গবন্ধুর ছবি রয়েছে এই প্যাভিলিয়নে।      

বাংলাদেশ সময়: ০১৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৭
এসজে/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।