ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ইজতেমা ময়দানে দলে দলে আসছেন মুসল্লিরা

শেখ জাহাঙ্গীর আলম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৭
ইজতেমা ময়দানে দলে দলে আসছেন মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিরা/ ছবি- জি এম ‍মুজিবুর

ইজতেমা ময়দান থেকে: টঙ্গীর তুরাগ তীরে অনুষ্ঠেয় মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম জামাত বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব উপলক্ষে মুসল্লিরা আসতে শুরু করেছেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলে দলে ময়দানের ভেতরে প্রবেশ করছেন মুসল্লিরা। 

৫২তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে অংশ নিতে দেশের ১৬টি জেলাসহ ঢাকা-গাজীপুরের আশপাশের এলাকা থেকে তারা আসছেন। ইজতেমা ময়দানে বরাদ্দকৃত নিজ নিজ খিত্তায় অবস্থান নিতে শুরু করেছেন মুসল্লিরা।

  

বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) বিশ্ব ইজতেমা ময়দান ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।  
 
এবার বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে অংশ নিচ্ছে দেশের ১৭টি জেলা। জেলাগুলো হলো- ঢাকা, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, জয়পুরহাট, মানিকগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রংপুর, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর, সাতক্ষীরা, যশোর, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান। ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হচ্ছে ১৩ জানুয়ারি, যা ১৫ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে।

টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে ১৬০ একর জায়গায় ইজতেমা ময়দানের ভেতরে মুসল্লিরা তাদের নিজ নিজ জেলার খিত্তায় প্রবেশ করছেন। ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিরা 

এদিকে ইজতেমা ঘিরে মাঠের চারপাশে রয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।  

মানিকগঞ্জ থেকে আসা মুসল্লি মো. আরিফুর বাংলানিউজকে জানান, প্রতিবছর ইজতেমায় আসি। এবার বাবাকে সঙ্গে নিয়ে একদিন আগেই চলে এসেছি।

বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে ময়দানের চারপাশে গড়ে উঠেছে অস্থায়ী দোকান। স্থানীয়রা এখানে খাবারের দোকানসহ বিভিন্ন দোকান গড়ে তুলেছেন।  

ময়দানের আশরাফ টেক্সাইলের পাশে থাকা দোকানি কবির মিয়া বাংলানিউজকে জানান, এখানে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা মুসল্লিদের সেবা দেওয়ার জন্য আমরা প্রতিবছর দোকান দিয়ে থাকি।  

এবারের ইজতেমার দুই পর্বেই অংশ নেবেন কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, পাবনা, জয়পুরহাট, যশোর, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, বরিশাল ও বরগুনা জেলার মুসল্লিরা।

১৯৬৭ সাল থেকে বিশ্ব ইজতেমা নিয়মিত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে ১৯৯৬ সালে একই বছর দু’বার বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। মুসল্লিদের সমাগমে স্থান কম হওয়ায় এবং মুসল্লিদের চাপ ও দুর্ভোগ কমাতে ২০১১ সাল থেকে দুই পর্বে ইজতেমা আয়োজন করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৭
এসজেএ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।