ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাংলার সংস্কৃতি বাদ দিয়ে উন্নয়ন সম্ভব নয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৭
বাংলার সংস্কৃতি বাদ দিয়ে উন্নয়ন সম্ভব নয়

ঢাকা: বাংলার সংস্কৃতি বাদ দিয়ে উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে এক সংবাদ  সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন।

সোনারগাঁওয়ে মাসব্যাপী ‘লোককারু শিল্পমেলা ও লোকজ উৎসব-২০১৭’ উপলক্ষে্য সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আগামী ১৪ জানুয়ারি থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এ মেলা।



সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান বলেন,বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি হাজার বছরের প্রাচীন। অতীত ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় নিজস্ব লোকজ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে অকৃত্রিমভাবে উপস্থাপন করতে এই মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। তবে বাংলার সংস্কৃতিকে বাদ দিয়ে কখনো উন্নয়নের চিন্তা করা যায় না। তাই আমাদের বাংলার পুরাতন ঐতিহ্যকে ধারণ করতে হবে।

উল্লেখ্য, আগামী ১৪ জানুয়ারি লোক ও কারুশিল্প মেলার উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ।

বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক রবীন্দ্র গোপের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আক্তারী মমতাজ।

এই মেলায় বাউল, কবি, পালা, ভাওয়াইয়া ও ভাটিয়ালী, জারি, সারি, হাছন রাজা, লালন, মাইজভান্ডারী, মুর্শিদী, আলকাপ, গাঁয়ে হলুদের গান, বান্দরবান, কমলগঞ্জের-মণিপুরী, ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শরিয়তী-মারফতিগানসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রদর্শিত হবে।

শুধু তাই নয়,মাসব্যাপী এ মেলায় লোকজ উৎসবে শিল্পী মমতাজ বেগম, বারী সিদ্দিকী, ইন্দ্র মোহন রাজবংশী, দীপ্তি রাজবংশী, ফকির আলমগীর, কিরণ চন্দ্র রায়, অনিমা মুক্তি গোমেজ, আনিসা, ডেইজি, মধু, রুবি সরকার, ছোট খালেক দেওয়ান, আইনাল হক বাউলসহ প্রায় শতাধিক শিল্পী সান্ধ্যকালীন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে লোকসঙ্গীত পরিবেশন করবেন।

মেলায় মোট স্টলের সংখ্যা ১৯৩টি। এর মধ্যে-কর্মরত কারুশিল্পীদের কারুপণ্য উৎপাদন প্রদর্শনীর স্টল-২৭টি, হস্তশিল্প-৪৬টি, পোশাক-৪৩টি, স্টেশনারি ও কসমেটিক্স-৩৫টি, খাবার স্টল-২৫ ও মিষ্টির স্টল-১৭টি।

বাংলাদেশ সময়. ১৯০৫ঘন্টা,জানুয়ারি ১২,২০১৭
এসজে/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।