বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি)দুপুরে কোটালীপাড়া সহকারি জজ আদালতে এ মামলটি দায়ের করেন ক্ষতিগ্রস্ত সেফাত আহমেদ নামে এক চাকরিপ্রত্যাশী। তিনি কোটালীপাড়া উপজেলার কুরপাড়া গ্রামের বেল্লাল শেখের ছেলে।
মামলায় অন্য আসামিরা হলেন পৌর সভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হুমায়ুর কবীর, সহকারী কমিশনার(ভূমি) কাজী তামজীদ আহম্মেদ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলের উপ-সহকারী প্রকৌশলী এস এম মাহবুবুর রহমান, কোটালীপাড়া পৌরসভার সচিব জহির উদ্দিন, চাকরিপ্রাপ্ত মাসুম বিল্লাহ, সামছুল হক গাজী, গোলাম সারোয়ার, মোঃ ইকবাল শিকদার, মোঃ হাসান এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, বিগত ২০১৪ সালের ১৬ নভেম্বর পৌরসভায় পাম্প অপারেটর পদে ৫ জন কর্মচারী নিয়োগের জন্য পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীর যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণী পাশ, দুই বছরের অভিজ্ঞতা ও বয়স ৩০ বছর হতে হবে বলে শর্ত দেয়া হয়। বিগত ২০১৫ সালের ৭ জুলাই যাচাই-বাছাই শেষে স্মারক নং কোঃ পৌঃ/জ-১/২০১৪/৩৩৯ মোতাবেক ২৪ জনকে লিখিত, মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা বলা হয়। বিগত ২০১৬ সালের ১১ নভেম্বর নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত পরীক্ষায় ৯ জনকে উত্তীর্ণ দেখানো হয়।
এর আগে ৩ বার নিয়োগ পরীক্ষা তারিখ পরিবর্তন করা হয়। বাদীসহ ৯ জন মৌখিক পরীক্ষা অংশ নেন। পরে রাতেই বাদীকে কৌশলে বাদ দিয়ে ৫ জনের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়। নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে ২ জনের বয়স চাকরীর শর্তানুযায়ী ৩০ বছর উত্তীর্ণ হয়েছে। নির্বাচিত ৫জনের কাছ থেকে চাকরীর শর্ত ভঙ্গ করে মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহণ করে নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয় মামলার আর্জিতে।
এ ব্যাপারে পৌর মেয়র এ এইচ এম অহিদুল ইসলাম-এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নিয়মতান্ত্রিকভাবেই চাকরি দেয়া হয়েছে। নিয়োগ কমিটি যথারীতি পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন। বাদী চাকরি না পেয়ে সংক্ষুব্ধ হয়ে মিথ্যা মামলা করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৫২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৭
বিএসকে/জেএম