মংলা বন্দরের হারবার বিভাগ জানায়, ‘এমভি আইজগাঁতি’ নামে কয়লা বোঝাই কোস্টারটি যে এলাকায় ডুবেছে তা মংলা বন্দর থেকে প্রায় ১২৫ নটিক্যাল মাইল দূরে বঙ্গোপসাগরের সাত নম্বর ফেয়ারওয়ে বয়ার কাছে। সুন্দরবনের হিরণ পয়েন্ট উপকূল থেকেও ২০ কিলোমিটার দূরে।
মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার মো. ওয়ালিউল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, কয়লাবাহী নৌযানটি ডুবেছে বন্দর চ্যানেলের অনেক বাইরে বঙ্গোপসাগরে। তাই বন্দরে পণ্যবাহী নৌযান চলাচলে কোনো অসুবিধা হচ্ছে না।
সকালে তিনি জানান, ডুবে যাওয়া নৌযানের এলাকাটি শনাক্ত করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর থেকে শনিবার (১৪ জানুযারি) বেলা ১১টা পর্যন্ত ওই পথ দিয়ে ১৫টির মতো জাহাজ চলাচল করেছে। এর পাশ দিয়ে কোনো ধরনের জাহাজ চলাচলেই অসুবিধা হচ্ছে না।
কয়লা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান যশোরের নওয়াপাড়া ট্রেডার্সকে ডুবে যাওয়া কোস্টারটি উদ্ধার করতে বলা হয়েছে। তবে সাগরের ওই গভীর এলাকা থেকে কোস্টারটি উদ্ধারে সক্ষম নৌযান এই এলাকায় নেই। তাই মালিক পক্ষ চট্টগ্রামে যোগাযোগ করছে।
ডুবে যাওয়া কোস্টার ‘এমভি আইজগাঁতি’বঙ্গোপসাগরের বারো নম্বর ফেয়ারওয়ে বয়ার কাছে নোঙর করা এমভি লেডিমেরি জাহাজ থেকে কয়লা নিয়ে যশোরের নওয়াপাড়া যাচ্ছিল। নওয়াপাড়া ট্রেডার্স নামে যশোরের একটি প্রতিষ্ঠান দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এমভি লেডিমেরি নামে একটি বিদেশি জাহাজে করে ৪৮ হাজার মেট্রিকটন কয়লা আমদানি করে। ২২ ডিসেম্বর জাহাজটি ফেয়ারওয়ে বয়ার কাছে নোঙর করে কয়লা খালাস শুরু করে।
বন্দরের হারবার বিভাগ জানান, আইজগাঁতি কোস্টারটি সাত নম্বর ফেয়ারওয়ের কাছে প্রচণ্ড টেউয়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়। এসময় পাশ দিয়ে যাওয়া অপর একটি কোস্টার ওই নৌযানের ১৬ নাবিক ও ক্রুকে উদ্ধার করে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) সাইদুল ইসলাম জানান, কয়লা বোঝাই নৌযানটি সুন্দরবন থেকে অনেক দূরে বঙ্গোপসাগরে ডু্বেছে। তাই বনের ওপর তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে এক হাজার ২৩৫ মেট্রিকটন কয়লা নিয়ে ‘এমভি সী হর্স-১’ নামে একটি উপকূলীয় জাহাজ ডুবে যায়। সুন্দরবনের পশুর নদীতে কয়লা বোঝাই আরও একটি নৌযান ডোবে ২০১৫ সালের ২৭ অক্টোবর। ৫১০ টন কয়লা নিয়ে ডুবেছিলো এমভি জি আর রাজ নামে ওই কার্গোটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৭
এসআই