তিনি বলেন, শনিবার (১৪ জানুয়ারি) ৫টার মধ্য হকারদের বিভিন্ন সমিতি বা সংগঠনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে হকারদের সমস্যা সমাধান করতে হবে। সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হলে সন্ধ্যা ৬টা থেকে হকারেরা আবার ব্যবসা আরম্ভ করবেন।
সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে এ আল্টিমেটাম দেয় সংগঠনটি।
গত ১১ জানুয়ারি হকারদের সংগঠন হকার্স ফেডারেশনের সঙ্গে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকনের মতবিনিময় সভায় সিদ্ধান্ত হয়, কর্মদিবসে হকাররা ফুটপাতে বসবেন না।
সেখানে মেয়র জানান, দিনের বেলায় মানুষের চলাচল যেন নির্বিঘ্নে থাকে, সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে অফিস ছুটির দেড় ঘণ্টা পর থেকে হকাররা পণ্য নিয়ে বসতে পারবেন।
মেয়র খোকন হকার সংগঠনের সঙ্গে মতবিনিময়ে সুনির্দিষ্ট সময়ে হকার বসা ছাড়াও দুই হাজার ৫০৪ জন হকারকে পুনর্বাসনের পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছিলেন।
মেয়রের এ ঘোষণার তিনদিনের মাথায় বিক্ষোভে হকার্স ইউনিয়নের নেতারা দাবি করেন, ওই দুই হাজার ৫০৪ জনের তালিকা একটি আইওয়াশ। তাদের দাবি, রাজধানীতে হকারের সংখ্যা ১০ লাখ। পুনর্বাসন করলে করতে হবে সবাইকেই।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘অন্য সবাই আইডি কার্ড পেলে হকাররা কেন পাবেন না? হকাররা আইডি কার্ড পেলে ভুয়া হকাররা আর ভাওতাবাজি করতে পারবেন না’।
‘হকারদের রুটি-রুজির ব্যবস্থা করে দেবেন না আপনারা, তারা করে খাবেন, সেটিও হতে দেবেন না, সেটা হবে না। গরিবের ওপর জুলুম কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না’।
হকারদের ন্যায আন্দোলন মেনে নেওয়ার আহবানও জানান তিনি।
সমাবেশ শেষে সংগঠনটির বিক্ষোভ মিছিল রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে শুরু হয়ে নগর ভবন ঘুরে গুলিস্তান গিয়ে মিছিলটি শেষ হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৭
ওএফ/এএসআর