শুধু তাই নয়, ইজতেমায় আগত মুসল্লিরা ধুলোর দাপটে রীতিমতো নাকাল হয়ে পড়েছেন।
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) টঙ্গীর তুরাগ পাড়ের ইজতেমা ময়দানে গিয়ে দেখা যায়, আগত মুসল্লিরা বেশিরভাগই মাস্ক কিনছেন ও নাকে রুমাল চেপে চলাফেরা করছেন।
ইজতেমায় ধুলোবালি থেকে রক্ষা পেতে ১ নম্বর গেটে মাস্ক কিনছেন মুসল্লি জোবায়ের ইসলাম। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া থেকে তারা ৫০জন এক সঙ্গে ইজতেমায় এসেছেন। লাখ লাখ মুসল্লিদের হাঁটাচলায় জন্যই ধুলোবালির মাত্রা বেড়েছে। তাই মাঠের মধ্যে ধুলোবালি থেকে রক্ষা পেতে কোনো পানি ছিঁটানো হচ্ছে না ইজতেমা ময়দানে। ধুলোবালির কারণে বিভিন্ন রোগ হতে পারে। তাই মাস্ক কিনছেন মুসল্লিরা।
ইজতেমা ময়দানের ৩ নম্বর রাস্তায় শরীয়তপুর থেকে আসা মুসল্লি সেজান বাংলানিউজকে বলেন, ময়দানে প্রচুর ধুলোবালি। নাকে রুমাল বা মাস্ক ছাড়া মাঠের ভেতরে হাঁটাচলা করা খুবই কষ্টকর। কারণ মুসল্লিদের হাঁটাচলায় ধুলোবালি উড়ছে। শুধু তাই নয়, ময়দানের ভেতরে বাতাসও রয়েছে। একটু জোরে বাতাস হলেই প্রচুর ধুলোবালি উড়ে। তাই মুখে রুমাল চেপে অথবা নাক চেপে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।
অন্যদিকে ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করতে দেখা যায় রাস্তার আশে পাশে ফেলা রাখা ময়লা আবর্জনা থেকেও ধুলোবালি উড়ছে। কিন্তু ইজতেমার মাঠের মধ্যে ধুলোবালি থেকে রক্ষা পেতে কোনো ধরনের পানি ছিঁটানো হচ্ছে না বলে মুসল্লিদের অভিযোগ।
৫২তম ইজতেমার প্রথম ধাপে অংশ নিচ্ছে দেশের ১৭ জেলার মুসল্লিরা ও দ্বিতীয় ধাপে অংশ নিবেন ১৬টি জেলার মুসল্লিরা। ১৫ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে প্রথম ধাপ। এরপর ২০ জানুয়ারি শুক্রবার শুরু হবে দ্বিতীয় ধাপ। একই ভাবে ২২ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের ৫২তম বিশ্ব ইজতেমা।
প্রথম ধাপের ইজতেমায় যেসব জেলার মুসল্লিরা অংশ নিচ্ছেন- ঢাকা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, মানিকগঞ্জ, জয়পুরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রংপুর, গাজীপুর, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর, সাতক্ষীরা ও যশোর।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৭
এসজে/আরআইএস/এসএইচ