ঢাকা: গুলশান-১ ডিএনসিসি মার্কেটের আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর সংস্কারের কাজ অনেকটাই এগিয়ে গেছে। কাজ শেষ হলে ধারাবাহিকভাবে সেগুলো খুলে দেওয়া হবে ব্যবসায়ীদের জন্য।
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে বাঁশ দিয়ে অস্থায়ী দোকানগুলো তৈরির কাজ প্রায় শেষের পথে। ভেতরের পুড়ে যাওয়া ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। কার পার্কিং এর উত্তর এবং পশ্চিম পাশ দিয়ে অস্থায়ী দোকান উঠছে। যেগুলোতে কাঁচা মার্কেটের ব্যবসায়ীদের আপাতত পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। তবে
ফুটপাত এবং মার্কেটের সামনের অংশে যে অস্থায়ী দোকানগুলো বসানো হয়েছিল সে সব তুলে দেওয়া হয়েছে। মার্কেটের ভেতরে কিছু দোকান খোলা হয়েছিল সেগুলোরও সাটার বন্ধ দেখা গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী সেলিম বলেন,“দোকান খুলতে পারলেই আমাদের চিন্তা অর্ধেক কমে যাবে। সবার উদ্যোগে আমাদের দোকানগুলো আপাতত খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। ”
আরেক ব্যবসায়ী করিম আকন্দ বলেন, “এভাবে কাজ চলতে থাকলে আশা করছি দুএকদিনের মধ্যেই ব্যবসা চালু করতে পারবো। তাতে অন্তত নতুন করে বাঁচার আশা তৈরি হবে আমাদের। আগুন তো আমাদের মেরেই ফেলেছিল। ”
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে নেওয়ার কাজ করছে সেনাবাহিনী। অস্থায়ী যে মার্কেট বসানো হয়েছিল মার্কেট কমিটির সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে সেসব তুলে নেওয়া হয়েছে। ওই এলাকার ব্যবসায়ীদের স্লিপ দিয়ে পরবর্তীতে দোকান বসানো হবে বলেও জানিয়েছেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।
এ সম্পর্কে গুলশান ডিএনসিসি পাকা মার্কেট সমিতির সাধারণ সম্পাদক, মো. জয়নাল আবেদিন বাংলানিউজকে জানান,“মেয়র আনিসুল হক ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর মফিজুর রহমানের সার্বিক সহযোগিতায় অস্থায়ী দোকান নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। মার্কেটের সামনে অস্থায়ীভাবে প্রায় ৬৭টি দোকান হবে। পাশে হবে ১৮টি। আগামী কাল পর্যন্ত নির্মাণ কাজ চলবে। সোমবার অথবা মঙ্গলবার নাগাদ এ দোকানগুলো খুলে দেওয়া সম্ভব হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, “আমাদের ডিএনসিসির মার্কেটে পাকা অংশে ৬০ শতাংশ ভালো আছে। বাকি ৪০ শতাংশের মধ্যে ২০ শতাংশ পুরোপুরি ক্ষতি হয়েছে আর ২০ শতাংশ আংশিক পুড়ে গেছে।
সব মিলিয়ে আগুনে মোট ক্ষতির পরিমাণ সঠিক করে বলা না গেলেও প্রায় কয়েকশো কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা আমাদের কাছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে চেয়ে একটা ফরম দিয়েছেন। সেটা পূরণ করে তাদের কাছে দিতে হবে।
মার্কেট তুলে দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ফুটপাতের সামনে গুলিস্তান, ধানমন্ডি হকার্সসহ বিভিন্ন জায়গায় হকাররা দোকান পেতেছিল। তাই মার্কেটের সুনাম নষ্ট হবার আশংকায় যেসব দোকান বসেছিল সেগুলো সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে তাড়াতাড়ি দোকানগুলো চালু করতে পারলে ব্যবসায়ীরা আবারো দাঁড়িয়ে যেতে পারবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ০৩৫৯ ঘণ্টা, ১৫ জানুয়ারি, ২০১৭
জেডএফ/এসএএস/আরআই