আর এই গানের তালে তালে পুরানো ঢাকার শাঁখারী বাজার, রায়সাহেব বাজার, বংশাল, সূত্রাপুর, বাংলাবাজার, ফরাশগঞ্জ ও সদরঘাট এলাকার প্রতিটি ছাদে শিশু-কিশোর তরুণ-তরুণী,নারী-পুরুষ সবাই ঘুড়ি ওড়ানোর মহা উৎসবে মেতে উঠেছেন।
সাদা-লাল ও হলুদসহ বিভিন্ন রংয়ের ঘুড়ি ওড়ানোর উৎসবে শিশু কিশোর প্রতিযোগীদের পাশে থেকে উৎসাহ দিচ্ছেন বাবা-মা আত্নীয় স্বজনরা।
বিকেল পেরিয়ে সন্ধ্যা নেমে আসার সাথে সাথে প্রতিটি বাসার ছাদে গানের পাশাপাশি শুরু হয় আগুন নিয়ে বিভিন্ন খেলা ও আতশবাজি ফোটানো । আতশবাজি ও ফায়ার শোতে বর্ণিল হয়ে উঠে পুরান ঢাকার আকাশ।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেলো পৌষ সংক্রান্তি ও মাঘ মাসের শুরুর এই দিন সকাল থেকেই কিশোর-কিশোরীরা ঘুড়ি ওড়ানোর প্রতিযোগিতায় নামে। যা পুরান ঢাকার জন্য একটি ঐতিহ্যবাহী দিন।
ঘুড়ি ওড়ানোর সময় প্রতিযোগীদের হঠাৎ ‘কাট্টা’ ‘লোট’ শব্দ করতে দেখা গেছে। প্রতিযোগী শুভ পোদ্দারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এক জন প্রতিযোগী আরেক প্রতিযোগীর ঘুড়ির সুতা কাটার সঙ্গে সঙ্গে মজা হিসেবে শব্দগুলো করেন।
লক্ষ্মীবাজারের স্থানীয় বাসিন্দা বিপুল চন্দ্র দাস বাংলানিউজকে বলেন, পৌষ সংক্রান্তি ও মাঘ মাসের শুরুর দিনটিকে উথযাপন করতে ঘুড়ি উৎসবের পাশাপাশি ঘরে ঘরে পিঠা-পুলির আয়োজন করা হয়।
পুরান ঢাকার বাসিন্দা সুব্রত মণ্ডল বাংলানিউজকে বলেন, দিনটিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত না খেয়ে থাকেন। আর মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা দিনটিতে সকালে পিঠা, মোয়াসহ নানা ধরনের খাবার বিলি করেন প্রতিবেশীদের মাঝে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৭
এমএফআই/আরআই