যানজট এড়াতে ও নিরাপত্তার স্বার্থে রোববার (১৫ জানুয়ারি) ভোর থেকেই বিশ্বরোডের পর আর গাড়ি চলাচল করতে দেয়নি ট্রাফিক পুলিশ। ফলে রাস্তায় টঙ্গীর দিকে কোনো টাউন সার্ভিসের দেখা মেলেনি।
এ অবস্থায় ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছেন প্রবীণ ও ছোটরা। তুরাগ পাড় থেকে বিশ্বরোড পর্যন্ত হেঁটে আসায় অনেকে অসুস্থও হয়ে পড়েছেন।
পরিবহন ব্যবস্থায় অব্যবস্থাপনার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ঢাকার বাইরে থেকে আসা মুসল্লিরা। কারণ আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালগুলোতে যাওয়ার পরিবহনও তারা পাননি।
১০ বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে বরিশাল থেকে এসেছেন মো. মুনতাজ আলী। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ইজতেমার সব ব্যবস্থাই মোটামুটি ভালো। তবে গাড়ি নাই, এতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।
টাউন সার্ভিস না থাকলেও কোনো কোনো জায়গায় লেগুনার মতো গাড়ি দেখা গেছে। আর এতে গাড়িতে উঠতে ইজতেমা ফেরত লোকজনকে লড়াই করতে দেখা গেছে।
এ প্রতিবেদন লেখার সময় কিছু টাউন সার্ভিস উত্তরার দিকে চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল। এছাড়া স্বল্প সংখ্যক এ গাড়িগুলো যেখানে যাত্রী পাচ্ছেন, সেখানেই দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন। ফলে সড়কে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।
সাধারণ যাত্রীরা বলছেন, যে বিশৃঙ্খলা শুরু হচ্ছে, তার জন্য যানজট ব্যাপক আকার নেবে।
যাত্রাবাড়ী থেকে আসা ব্যবসায়ী মো. রমিজ মোল্লা বলেন, কোনো গাড়িই তো পাইনি। যেটা পেয়েছি উঠতে পারিনি। তাই পায়ে হেঁটেই ফিরছি।
এদিকে টঙ্গী রেলস্টেশন ঘুরে দেখা গেছে সেখানে উপচেপড়া ভিড়। বৃহত্তর ময়মনসিংহ, উত্তরবঙ্গ, সিলেট, চট্টগ্রামের মুসল্লিরাও ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন। এতো মুসল্লি যে ট্রেনেও জায়গা হবে না।
টঙ্গী রেলস্টেশনে ইস্কান্দার শেখ নামের এক মুসল্লি বলেন, ইজতেমার সব আনন্দ ফেরার পথেই ম্লান হয়ে যায়। প্রচণ্ড কষ্ট হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৭
ইইউডি/জিপি/জেডএস