একযোগে লাখো মুসল্লি রাস্তায় বের হওয়ার ফলে তীব্র ভিড় ঠেলে ধীরে ধীরে এগুতে হয়। দীর্ঘ পথ হাঁটার ক্লান্তির মাঝে গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে দেখা দিয়েছে এক শ্রেণির মোটরসাইকেল চালকদের খামখেয়ালি মনোভাব।
এসব মোটরসাইকেল চালকদের দেখা গেছে, ইজতেমার মাঠ সংলগ্ন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে বিকট শব্দে হুইসেল বাজিয়ে ভিড় ঠেলে চলতে। এভাবে পথ চলার ফলে সাধারণ মুসুল্লিদের স্বাভাবিক চলাফেরা বাধাগ্রস্থ হয় এবং দূর্ঘটনা ঘটে।
আখেরি মোনাজাতের দোয়ায় অংশ নেওয়া মুসল্লিদের নিরাপদে চলাফেরার সুবিধার্থে ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কসহ বেশ কয়েকটি সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
কিন্তু মোটরসাইকেল চলাচল করে। এ সুযোগে বিশৃঙ্খল সৃষ্টি করে চলছে মোটরসাইকেল আরোহীরা। যেখানে ইজতেমায় অংশ নেওয়া মুসল্লিদের অধিকাংশ পায়ে হেঁটেই ফিরছে, সেখানে এভাবে মোটরসাইকেল চালিয়ে সাধারণ মুসল্লিদের চলাচল বাধাগ্রস্থ করায় ভোগান্তি কেবল বাড়ছে।
দোয়া ফেরত মুসল্লিদের অনেককেই মোটরসাইকেল আরোহীদের নিবৃত্ত করলেও তারা কর্ণপাত করেনি। উল্টো একটু ফাকাঁ জায়গা পেলেই গতি বাড়িয়ে চলতে দেখা গেছে।
ইজতেমার দায়িত্ব পালনরত পুলিশ সদস্যরাও মোটরসাইকেল আরোহীদের বারবার সতর্ক করতে দেখা গেছে। তাতে সাময়িক স্বস্তি মিললেও একটু পরেই অবস্থা যেই-সেই।
মোটরসাইকেল আরোহীদের হর্ন বাজিয়ে এভাবে দর্পের সঙ্গে পথচারীদের বিরক্ত করে চলার চিত্র দেখে টঙ্গী বাজারে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশকে জানালেও থামানো যায়নি ফুটপাতে মোটরসাইকেল চলাচলের বেহাল অবস্থা। উল্টো ধীরে চলার পরামর্শ দিলে তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়।
এমতাবস্থায় ইজতেমায় আগত সাধারণ মুসল্লিদের প্রত্যাশা, সামনের দিনগুলোতে মোটরসাইকেল চলাচলের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হবে।
এটা নিয়ে স্থানীয় ওর্য়াড কাউন্সিলর মো. গিয়াস উদ্দিন সরকার বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরেও এসেছে। আমরা চেষ্টা করি, ইজতেমায় আসা মুসল্লিরা শান্তি, স্বস্তি ও নিরাপদে তাদের কাজ শেষ করুক। যদি মোটরসাইকেলের কারণে সাধারণ মুসুল্লিদের ভোগান্তি হয়, প্রয়োজন এরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা মুসল্লিদের দিকটা বিবেচনা করবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৭
এমএইউ/ওএইচ/